বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এবার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ‘মারধরের’ অভিযোগ উঠল শাসকদলের কাউন্সিলর (TMC Councilor) কাকলি চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সংবিদ গোস্বামী নামে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্থার অভিযোগ। এই নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা।
ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস | Trinamool Congress
অভিযুক্ত কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরীরর আরেকটাও পরিচয় রয়েছে। তিনি ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ওই ছাত্র। ঠিক কি থেকে ঘটনার সূত্রপাত?
আক্রান্তের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই কাজ। এবিপি আনন্দে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কর্মীরা জোর করে আমায় দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরা আমায় বেধড়ক মারধর করে। বাবাকে হুমকি দেওয়া হয়।’
আক্রান্ত ছাত্রের বাবা কাজল গোস্বামী বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আমি বিজেপি করায় আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওরা মারধর কাউন্সিলরের।’ এমনকি তাঁকে ও তার ছেলেকে কাকলি চৌধুরী খুনের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কাজলবাবু বলেন, মালদা রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে বসে ছেলে এবং কয়েকজন বন্ধু গল্প করছিল। সেই সময় কাকলি চৌধুরীর ওয়ার্ড অফিস থেকে ৫০ জন ছেলে, এলাকার গুণ্ডাবাহিনী ছেলেকে টেনে হিঁচড়ে পার্টি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মারধর করা হয়। খুন করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
আক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া বলেন, ‘কালকে সাড়ে আটটার দিকে মিশনের কাছে বসেছিলাম। কয়েকজন দাদা এসে বলল পার্টি অফিসে চল। আমি জিজ্ঞেস করতে ওরা বলল তোকে যেতে বলেছি চল। এরপর কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে আমায় মিশনের ওখানে পার্টি অফিসে নিয়ে যায় ওরা। পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে বলে কাউন্সিলার আসছে। কথা বলবেন। এরপর কাকলি চৌধুরী আসার পর বাবার নাম জিজ্ঞেস করে। বলি কাজল গোস্বামী।
এরপর উনি বলেন বেশি বড় নেতা হয়েছে, পাড়ায় আমাদের বিরুদ্ধে সংগঠন করবে, পলিটিশিয়ান হবে। সঙ্গে সঙ্গে আমায় এক থাপ্পড় মারেন এবং নাগাড়ে মারতে থাকেন। তারপর ওখানে থাকা ছেলেদের বলেন এবার ওকে মার। আমার সঙ্গে যে ২-৩ জন বন্ধু তাদেরকেও মেরেছে ওরা।’ এদিকে পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর বলেন, পুরসভার স্বাস্থ্য ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেছে ওই ছেলে।

কাকলি চৌধুরীর অভিযোগ, একদল ছেলে স্বাস্থ্যভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেত, নেশা করত। সেই দলেরই পাণ্ডা কাজল গোস্বামীর ছেলে সংবিদ। এসব করায় গার্ড তাদের বারণ করায় স্বাস্থ্যভবনের গার্ডকে গালিগালাজ করে ওরা। পরে আরও কয়েকজনকে নিয়ে পৌরসভার মাতৃসদনে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। এমনকি গার্ডকে মারতে যায়। গার্ড কোনও রকমে পালিয়ে যায়।
কাকলি চৌধুরীর কোথায়, গোটা ঘটনায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাঁরাই ওই ছেলের দলকে আটকে রেখেছিলেন এবং অভিভাবক না এলে ছাড়া হবে না বলেছিলেন। এছাড়া কিছুই নয়। সবমিলিয়ে গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে।













