বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হঠাৎই নবান্ন (Nabanna) থেকে ফোন (Phone) গেল রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজামুল হোসেনের (Tajmul Hossain) কাছে। ফোন করেই, “নবান্ন থেকে বলছি, চিফ সেক্রেটারি কিছু তথ্য জানতে চেয়েছেন।” সেই সময় তাজামুল জেলাশাসকের দপ্তরে জরুরি প্রশাসনিক বৈঠক করছিলেন। তবে নবান্নের উল্লেখ শোনা মাত্রই নড়েচড়ে বসলেন মন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, ফোনে একের পর এক প্রশ্ন করা হয় তাজামুলকে। তিনি সঠিকভাবে ঠান্ডা মাথায় সব প্রশ্নের জবাব দিলেও বার কয়েক ধমক শুনতে হয় মন্ত্রীকে। এটা ঠিক হয়নি। ওটা ঠিক করেননি। বকা শুনতে শুনতে রীতিমতো নাজেহাল দশা তার। শুধু তাজামুলই নন, সেদিন এই একই ব্যক্তির ফোন গেছে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, রতুয়ার বিধায়ক ও তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়ের কাছে।
সত্যিই কী নবান্ন থেকেই ফোন এসেছে? সন্দেহ হয়েছিল তাজামুলের। তারপরই খোঁজ চালান মন্ত্রী। আর তাতেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি বুঝতে পারেন, নবান্ন থেকে এমন কোনও ফোন আসেনি। অর্থাৎ, সেই দাপুটে আমলার ফোন ভুয়ো। এর পরেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত।
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার পেশায় মাছ চাষি আজিম মণ্ডল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কী উদ্দেশে নেতা-নেত্রীদের এই ফোন তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। ঘটনা প্রসঙ্গে তাজামুল জানান, ‘সেদিন একটা বৈঠকে ছিলাম তখনই নবান্ন থেকে বলছি বলে ফোনটা আসে। চিফ সেক্রেটারি জানতে চেয়েছেন বলে কিছু প্রশ্ন করা হয়।’
মন্ত্রীর সংযোজন, ‘পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে রীতিমতো কৈফিয়তের সুরে জানতে চাইছিল। ধমক দিচ্ছিল বারে বারে। বলেছিল, আমি ঠিক ভাবে কাজ করছি না। নাম ভাঁড়িয়ে ফোন করছে বুঝতে পেরে পুলিশকে জানাব বলে পাল্টা ধমক দিয়ে ফোন রেখে দিয়েছিলাম।’ জানা গিয়ে ঘটনায় ধৃত আজিম মণ্ডলের বিরুদ্ধে এর আগেও এরম ভুয়ো ফোন করার অভিযোগ রয়েছে।