বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসির প্রকাশিত ‘দাগি’ তালিকায় ফের উঠে এল শাসকদলের (Trinamool Congress) এক নেতার নাম। মালদহের মোথাবাড়ির তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় শিক্ষক সামসুদ্দিন আহমেদের নাম রয়েছে এই তালিকায়। অভিযোগ, শুধু নিজের চাকরি নয়, অন্যদেরও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে তিনি টাকা তুলেছিলেন।
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকাও তুলেছেন তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress)
অভিযোগ, বহুজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন সামসুদ্দিন। তাঁর স্ত্রী সারিকা খাতুন বর্তমানে মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। রাজনৈতিক প্রভাবও ছিল যথেষ্ট। তবে পরিবার দাবি করছে, সামসুদ্দিন যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, তিনি চাকরির নামে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছেন। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছে।
তালিকা প্রকাশের পর থেকেই সামসুদ্দিন এবং তাঁর স্ত্রীকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। প্রতিবেশীরা আশঙ্কা করছেন, টাকা ফেরতের দাবিতে লোকজন তাঁদের বাড়িতে হাজির হতে পারে। তাই তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন। যদিও পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যুসংবাদ শুনে তাঁরা বাইরে গিয়েছেন।
শনিবার রাতে প্রকাশিত ৩৩ পাতার এই তালিকায় সামসুদ্দিন ছাড়াও একাধিক শাসকঘনিষ্ঠর নাম উঠে এসেছে। তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল, অজয় মাঝি সহ আরও কয়েকজনকে ‘দাগি অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, ১ হাজার ৮০৬ জনকে ‘দাগি’ ঘোষণা করা হলেও বাতিল হয়েছে মোট ২ হাজার ১৬০টি অ্যাডমিট কার্ড।
আরও পড়ুনঃ প্রিন্সেপ ঘাটে নৌকা ভ্রমণের নাম করে ধর্ষণ! খাস কলকাতার বুকে ফের নারকীয় ঘটনা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
মোথাবাড়ি থেকে মালদহ জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, সামসুদ্দিন সত্যিই যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন, নাকি টাকার বিনিময়ে পদ দখল করেছিলেন? যদিও এই প্রসঙ্গে এখনো মুখ খোলেননি তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress), তবে এই প্রসঙ্গে বিতর্ক যে আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট।