মুইজ্জুকে সরাতে আর্থিক সাহায্য ভারতের? অভিযোগ উঠতেই বিরাট প্রতিক্রিয়া মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমেরিকান দৈনিকের রিপোর্টকে কেন্দ্র করে ফের চর্চার কেন্দ্রে ভারত এবং মলদ্বীপের (Maldives) পারস্পরিক সম্পর্ক। মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে সরাতে নাকি ভারতের থেকে সাহায্য চেয়েছিল ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী দল। সম্প্রতি এক মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের এহেন রিপোর্টকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হতেই মুখ খুলেছেন মলদ্বীপের (Maldives) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

মলদ্বীপের (Maldives) বিরোধী দলকে সাহায্যের অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে

সংশ্লিষ্ট আমেরিকান সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে মহম্মদ মুইজ্জুকে পদ থেকে সরানোর জন্য নাকি ভারতের দ্বারস্থ হয়েছিল মলদ্বীপের (Maldives) বিরোধী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি। মুইজ্জুকে পদ থেকে সরাতে নাকি ৫১ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাহায্য চেয়েছিল তারা। ওই টাকা দিয়ে পার্লামেন্টের ৪০ জনকে ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। কিন্তু মুইজ্জুর বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য নাকি পর্যাপ্ত পার্লামেন্ট সদস্য জোগাড় করা যায়নি। তাই ভেস্তে যায় এই পরিকল্পনা।

Maldives ex president took side of India

কী বললেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট: এই অভিযোগের বিরোধিতা করে মুখ খুলেছেন মলদ্বীপের (Maldives) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, কিছু মানুষ সবসময়ই ষড়যন্ত্র। কিন্তু মুইজ্জুকে সরানোর জন্য কোনো গুরুতর পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তাঁর জানা নেই। ভারত কখনোই এই ধরণের পরিকল্পনাকে প্রশ্রয় দেবে না। কারণ ভারত সবসময় মলদ্বীপের (Maldives) গণতন্ত্রকে সম্মান করেছে। মলদ্বীপের সঙ্গে কখনো সম্পর্ক খারাপ করেনি।

আরো পড়ুন : অত্যাচারিত হিন্দুরা নয়, বাংলাদেশ থেকে লুকিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে কারা? জানলে উড়বে ঘুম

অভিযোগ অস্বীকার নয়াদিল্লির: এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করা হলেও সরকারি সূত্র বলছে, এই রিপোর্টের অভিযোগ অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি। উপরন্তু ভারত এবং মলদ্বীপের (Maldives) মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে তা বোঝাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় বারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : বর্ষবরণে বজায় রইল “রীতি”, বিদেশের সমুদ্র সৈকতে ঠোঁটে ঠোঁট রাজ-শুভশ্রীর

উল্লেখ্য, মলদ্বীপের (Maldives) বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর আমলেই ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যে দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এসেছিল। গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ শানিয়েছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী। পালটা ভারত থেকে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক উঠতে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখে পড়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রটি। তারপরে অবশ্য ফের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় দুই দেশের মধ্যে।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর