অবশেষে হল মুইজ্জুর সুমতি! ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে নিলেন বড় সিদ্ধান্ত, জানলে হবেন অবাক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ভারতের সাথে চুক্তি পরীক্ষা করা থেকে সংসদকে বিরত করেছেন। ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের উন্নতির মধ্যেই এই নির্দেশ জারি করেছেন মুইজ্জু। মূলত, রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে মুইজ্জু তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে বিগত সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলি খতিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন। এদিকে, মুইজ্জু ক্ষমতায় এসে এই চুক্তিগুলির তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন মলদ্বীপের পার্লামেন্টকে এই বিষয়ে তদন্ত করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, সম্প্রতি মলদ্বীপকে দেওয়া ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়েছে ভারত। এছাড়াও ভারত মলদ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়েছে।

কি সিদ্ধান্ত নিলেন মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট:

আধাধুর রিপোর্ট অনুসারে, মোহাম্মদ মুইজ্জুর দলের সাংসদ আহমেদ আজান গত ৯ জুন ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলি তদন্ত করার জন্য মলদ্বীপ (Maldives) সংসদের নিরাপত্তা কমিটির কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে মুইজ্জু সরকার কোনও বিলম্ব না করে ১০ জুন একটি সাব-কমিটি গঠন করে। সাব-কমিটিকে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে হাইড্রোগ্রাফি চুক্তি, উথুরু থিলা ফালহু (UTF) চুক্তির প্রক্রিয়া এবং ডর্নিয়ার বিমান চুক্তি পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। চার সদস্যের এই সাব-কমিটিতে রয়েছেন হিতধু মেধুর সাংসদ আহমেদ আজান, ধীঘরুর সাংসদ আহমেদ নাজিম, হানিমাধুর সাংসদ আবদুল গফুর মুসা এবং থুলাহাধুর সাংসদ আবদুল হান্নান আবুবাকুরু।

   

Maldives took a big decision to maintain good relations with India.

মলদ্বীপের সাংসদ তদন্তের দাবি করেছেন: এখন এই কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের পর সাংসদ আজান বলেন, মলদ্বীপের (Maldives) জনগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে ভোট দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই কমিটির সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হওয়া উচিত যারা ক্ষমতায় আসার দাবি করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করা. আমরা জানি এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রভাবিত করে। তাই এই কমিটিকে, সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে তদন্ত করতে হবে। তবে, সংসদ এই বিষয়টি বিবেচনা করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেনি।”

আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য অশ্বিন! গড়লেন দুর্ধর্ষ রেকর্ড, ছুঁয়ে ফেললেন কিং কোহলিকেও

মুইজ্জুর নির্দেশে তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়: আধাধুর রিপোর্ট অনুসারে, বিষয়টি কমিটি পর্যায়ে তিন মাস ধরে বিচারাধীন রয়েছে এবং ক্ষমতাসীন পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের (পিএনসি) কিছু সাংসদ জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর নির্দেশে বিষয়টি আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংসদ জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশে বিষয়টি আটকে রাখা হয়েছে। কারণ এটি ভারতের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্র কঠিন করে তুলতে পারে। আলোচনা ছাড়াই এই বিষয়টি উত্থাপিত হলে রাষ্ট্রপতি ক্ষুব্ধ হবেন।”, এদিকে, সাব-কমিটি এই বিষয়টি নিয়ে কোনও বৈঠক করেছে কিনা তা সংসদের ওয়েবসাইটে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে মিলল সেরার শিরোপা! দলীপ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হল এই দল

ভারতের কাছে সাহায্য চান মুইজ্জু: রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুইজ্জু ভারত সম্পর্কিত কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। ভারতীয় হেলিকপ্টার ও ডর্নিয়ার বিমান ফেরত দেওয়া হয়নি। ভারতীয় সৈন্যদের অপসারণের জন্য আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু তাঁদের পরিবর্তে রাখা হয়েছিল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স কোম্পানির সদস্যদের। যা ভারতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে, মলদ্বীপ (Maldives) সরকারের দাবি, তারা মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের সরাতে সফল হয়েছে। মুইজ্জু প্রশাসন শুরুতে ভারত বিরোধী নীতি অনুসরণ করার পর, প্রেসিডেন্ট এখন ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছেন এবং তিনি আর্থিক সাহায্যও চান বলে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর