বাংলা হান্ট ডেস্ক : ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মালদ্বীপ (Maldives) থেকে ভারতের (India) নাম চিহ্ন সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া মহম্মদ মুইজ্জু। চীনপন্থী এই প্রেসিডেন্টের মূল লক্ষ্য হল দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতকে দূর করা। ইতিমধ্যেই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় (India-Maldives) সেনা সরানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সেদেশের সরকার। আর এবার খবর, মালদ্বীপ জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (MNDF) দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টার এবং একটি ডার্নিয়ার বিমানের ব্যবহার বন্ধ করতে চলেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপহারস্বরূপ মালদ্বীপে বেশ কয়েকটি বিমান পাঠিয়েছিল ভারত সরকার। মালদ্বীপের কোনায় কোনায় ওষুধ পৌঁছানো থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি পৌঁছানো হত এই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনারা বিভিন্ন অপারেশনের কাজে ব্যবহার করত এইসব বিমান। তবে মহম্মদ মুইজ্জু মসনদে আসীন হতেই ভারত সরকারকে অনুরোধ করেন, যাতে এই ৮৯ জন সেনাকে অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া হয়।
দুই দেশের মধ্যে হওয়া দীর্ঘ আলোচনা কর পর সেনা সরাতে সম্মত হয় ভারত। মালদ্বীপের মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় সৈন্যদের প্রথম ব্যাচ ১০মার্চ এবং শেষ ব্যাচ ১০মে রওনা হবে। অন্যদিকে বেসামরিক কর্মীদের প্রথম ব্যাচ যারা সৈন্যদের পরিবর্তে বিমান পরিচালনা করবেন তারাও এখন মালদ্বীপে পৌঁছে গেছেন। তারাই এখন বিমান এবং হেলিকপ্টার পরিচালনা করবেন।
আরও পড়ুন : ভোটের আগেই সুখবর! বড় ঘোষণা রেলের, খুশিতে লাফাচ্ছে যাত্রীরা
তবে এখন শোনা যাচ্ছে, মালদ্বীপ সরকার নাকি আর ভারতীয় বিমান ব্যবহার করতে চাইছেনা। সেদেশের মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন যে ভবিষ্যতে ভারতীয় বিমান ব্যবহার করা হবে না। এমতাবস্থায় বিমান পরিচালনার জন্য ভারত থেকে যে কারিগরি দল মালদ্বীপ পৌঁছেছেন তাদের কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মূলত মালদ্বীপ সরকার কর্তৃক চালু করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং MNDF-র এয়ার কার্গোর কারণে ভারতীয় বিমানের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন : আর নয় ভিড়ে ঠেলাঠেলি, আরামে সফর শিয়ালদা লাইনে! বিরাট তথ্য দিল পূর্ব রেল
ভারতীয় কারিগরীদের উপর মালদ্বীপের আস্থা নেই
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত মালদ্বীপে সিভিল টেকনিক্যাল কর্মীদের পাঠিয়েছে। কিন্তু মুইজ্জু সরকার মোটেও মানতে রাজি নয় যে তারা সৈন্য নয়। সম্প্রতি মালদ্বীপের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, তারা নাগরিক কিনা আগে তা নিশ্চিত করা হবে। যদিও ঠিক কীভাবে নিশ্চিত করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত মঙ্গলবার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামিন বলেছিলেন, ‘ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপে বেসামরিক লোকের ছদ্মবেশে থাকার দরকার নেই।’ তিনি ভারতীয় বিমান ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছিলেন।