বাংলাহান্ট ডেস্ক: মল্লিকা শেরাওয়াত (mallika sherawat) মানেই আপনাআপনি নামের সঙ্গে বসে যাবে ‘সাহসী’ তকমা। নিজের কাজ দিয়েই এই খেতাব হাসিল করেছিলেন তিনি। ক্যামেরার সামনে যেমন সাবলীল ভাবে নগ্নতা বা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের মতো বিতর্কিত বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন তা এককথায় প্রশংসনীয়। কিন্তু এর জেরেই এক সময় সমালোচিতও হতে হয়েছে তাঁকে। আর তা এতই ভয়াবহ ছিল যে দেশ পর্যন্ত ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন মল্লিকা।
বলিউডে ডেবিউয়ের পরের বছরেই গোটা ইন্ডাস্ট্রির দৃষ্টি নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেন মল্লিকা। নতুন অভিনেত্রী হয়েও ‘মার্ডার’ ছবিতে একের পর এক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে যেভাবে অভিনয় করেছিলেন তিনি তাতে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু এরপরেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী জানান, সেসব কুৎসা সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
মল্লিকার অভিযোগ, সে সময় সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশ কুৎসা রটাতেন তাঁর বিরুদ্ধে। এমন অনেক সাংবাদিকই ছিলেন যারা কিনা তাঁর বিষয়ে মিথ্যা কথা লিখতেন। ইচ্ছামতো কথা বসিয়ে দিতেন তাঁর মুখে। কয়েকজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মল্লিকা। এত নেতিবাচকতা সহ্য করতে পারছিলেন না তিনি। মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন মল্লিকা। তাই দেশ ছেড়ে পালানো ছাড়া আর কোনো গতি তাঁর কাছে ছিল না বলেই জানান তিনি।
অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই করে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন মল্লিকা। এই বিষয়ে পরিবারের কারোর থেকেই কোনো সাহায্য পাননি তিনি। এমনকি বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বই চলে আসার জন্য তাঁকে ত্যাজ্যকন্যাও করেছিলেন রক্ষণশীল বাবা। তবে মল্লিকার ভাগ্য ভাল এই ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ফিরিয়ে দেয়নি।
দীর্ঘদিন পর ফের বলিউডে অভিনয় জগতে ফিরেছেন মল্লিকা। তবে সেলুলয়েডে নয়, এবারে ডিজিটাল দুনিয়ায় অভিষেক করলেন তিনি। ‘নকাব’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে OTT র দুনিয়ায় পা রাখলেন মল্লিকা।