একদিকে ব্রিগেডের ময়দানে মোদীর উপস্থিতিতে শুরু হল বিজেপির নির্বাচনী প্রচার। একইদিনে শিলিগুড়ি থেকে মমতার পেট্রোল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল ও সভার মাধ্যমে রবিবার রাজ্য রাজনীতি হয়ে ওঠে সরগরম। ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তব্যের শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। তো অন্যদিকে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ।
নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিজেপির বাংলায় প্রচারে আসা নিয়েও এদিন নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নেন মমতা। রাজ্যে এসে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা তৃণমূল সরকারকে সিন্ডিকেট ও তোলাবাজির সরকার বলে আক্রমন করে এসেছে, এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি মোদী-অমিত শাহ কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সূর চড়িয়ে আক্রমন করে বলেন, ‘ভারতে একটিই সিন্ডিকেট চলে, তা হল মোদী-অমিত শাহ সিন্ডিকেট’।
এছাড়াও শিলিগুড়িতে পদযাত্রা শেষে সফদর হাসমি চকের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদীর প্রায় প্রত্যেকটি আক্রমনের পাল্টা প্রতিঘাত ফিরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের গমগমে মহল থেকে মোদী রাজ্যের নারী সুরক্ষা, সাধারণ মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া ও আমফান দূর্নীতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্যের মানুষের বিজেপির উপর আস্থা রেখে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। সে প্রসঙ্গেও মমতা মোদীকে আক্রমণ করতে থেমে থাকলেন না, তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মেয়েদের কথা ভাবার আগে ,তিনি কেন রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে ভাবছেন না, বাঙালির রান্না ঘরে আগুন ধরালে , মা-বোনেরা ছেড়ে দেবে না।’
এদিন ব্রিগেড থেকে মোদী বলেন, বাংলার মানুষ তৃণমূলকে বিশ্বাস করেছিল, মমতা তা সেই বিশ্বাস আর বজিয়ে রাখতে পারলেন না। বাংলায় পিসি-ভাইপোর তোলাবাজি প্রসঙ্গে টেনে তিনি আজ অভিনব পথ অবলম্বন করে মমতাকে কটাক্ষ করেন যে, ‘হ্যাঁ আমি স্বজনপোষণ করি, বন্ধুদের প্রতি নরম দৃষ্টিতে তাকায়, তবে আমার সেই বন্ধু হল গোটা দেশবাসী। আমি সবাইকে নিয়েই ভাবি।’