বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পাঁচ বছর পর জানুয়ারি মাসে নন্দীগ্রামে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি তৃণমূলের প্রথম প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়ে দেন যে, নন্দীগ্রামে তিনিই তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন। এরসঙ্গে তিনি এও জানান যে, যদি ম্যানেজ করা যায় তাহলে তিনি ভগাবীপুর থেকেও প্রার্থী হবেন। কারণ ভবানীপুর ওনার বড় বোন আর নন্দীগ্রাম ওনার ছোট বোন।
এরপর রাজ্যের বিরোধী দল গুলো মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করা শুরু করে। তাঁরা বলে, তৃণমূল নেত্রী জানেন যে এবার তিনি ভবানীপুরে হারছেন সেই কারণে তিনি মুসলিম বহুল নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। এরসঙ্গে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীর তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হলে বলা হয় যে, তিনি যেন শুধু নন্দীগ্রাম থেকি দাঁড়ান। এবার শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তিনি শুধু নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হচ্ছেন।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তৃণমূল নেত্রী এবার আর ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন না। তিনি শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই নির্বাচনে লড়ছেন। নন্দীগ্রামে থেকে তিনি নির্বাচনী প্রস্তুতি নেবেন। জানা গিয়েছে তিনি শেখ সুফিয়ানের বাড়ির কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকবেন। ওনার জন্য বাড়ি ভাড়াও নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
একুশের নির্বাচনে সবথেকে হাইভোল্টেজ আসন হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম আসন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিজেপি ওই আসন থেকে শুভেন্দু অধিকারীকেই নির্বাচনে নামাচ্ছে। কারণ নন্দীগ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলেই পরিচিত। আর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বেশীরভাগ মানুষই এখনও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই রয়েছেন।
আরেকদিকে, নন্দীগ্রাম আসন থেকে বাম-কংগ্রেস-ISF জোটের হেভিওয়েট প্রার্থী দাঁড়ানোর সম্ভবনা প্রবল। ওই আসনে ISF প্রধান আব্বাস সিদ্দিকীও দাঁড়াতে পারেন। যদিও ওই আসনে কে দাঁড়াবে সেটা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সংযুক্ত মোর্চা।