বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাসের নতুন উপপ্রজাতি JN.1। দেশবাসীর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে একাধিক কওভইড (COVID) পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তার মাঝেই বাংলার মানুষকে সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নবান্নে বসে করোনা মোকাবিলার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপের কথাও বলেছেন তিনি। তবে আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এইদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।’ সেই সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তা, ‘যতটা পারবেন সাবধানে থাকুন। বেসরকারি নার্সিংহোমের আইসিসিইউ থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। গতকালও এক জন মারা গিয়েছেন। তার কো-মর্বিডিটি ছিল। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। যেহেতু এটা বাড়ছে আমেরিকা, স্পেনে। এখানে কেরলেও হচ্ছে। তাই সাবধানতা নেওয়া জরুরি।’
এরপরেই প্রশ্ন আসে, তবে কি ফের একবার মাস্ক পরে ঘুরতে হবে সাধারণ মানুষকে। আবার কি ঘরবন্দী হতে হবে সাধারণ মানুষকে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পারবেন, একটু মাস্ক ব্যবহার করুন। জোর করে কিছু করছি না। ঘিঞ্জি এলাকায় গেলে, লোকালয়ে গেলে মাস্ক পরুন। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তার জন্য সতর্কতা।যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছেন, তারা সকলে মাস্ক পরুন। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তার ব্যবস্থা এখন থেকে নিতে হবে।’
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে প্রায় ৫১৪ জন কোভিড পজিটিভের সন্ধান মিলেছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। যার মধ্যে ২ জন মানুষ মহারাষ্ট্রের এবং ১ জন কর্ণাটকের। বাংলাতেও মিলেছে করোনার নয়া উপপ্রজাতি JN.1-এর সন্ধান। এছাড়াও করোনা ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, কেরল, গোয়া, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, দিল্লি, ওড়িশা, হরিয়ানা।
আরও পড়ুন : দেশে রোহিঙ্গা ঢোকাতেন, তোলাবাজির টাকায় গড়ে উঠেছে বসতি! শাহজাহানের বিরুদ্ধে চরম চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ED
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ৪০৯। সেখানে দেশে অ্যাক্টিভ কেসের প্রায় সংখ্যা ৩ হাজার ৬৪৩। সেই সাথে খবর, গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে ফিরেছেন প্রায় ৭৩২ জন। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে করোনাকে হারিয়ে জীবনে ফিরে এসেছেন প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫০২ জন। অর্থাৎ ভারত যে করোনাকে ভালো টক্কর দিয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৮১ শতাংশ।