১২,০০০ পুলিশ নিয়োগ! একইসঙ্গে প্রশিক্ষণ ও ডিউটি! মমতার ঘোষণায় নয়া বিতর্ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর রাজ্যের হাসপাতাগুলির সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকে বেরিয়ে হাসপাতালের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। একইসঙ্গে জানান, রাজ্য পুলিশে ১২,০০০ নিয়োগের কথা।

মমতা বলেন, আগেই এই নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্দেশ না আসার কারণে সেটা আটকে যায়। একইসঙ্গে জানান, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চলবে নবনিযুক্ত পুলিশকর্মীদের ডিউটি। আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পরেও কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? গতকাল এই ঘোষণা হতেই মাথাচাড়া দিয়েছে নয়া বিতর্ক।

   

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈঠক সেরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, ‘আজ বললে আজই নিরাপত্তা দিতে পারব না। যা রয়েছে আপাতত সেটা থেকে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। আস্তে আস্তে অডিট করে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশে যেমন ১২,০০০ নিয়োগ আটকে ছিল। সম্ভবত সোমবার অর্ডার আসবে। ১২,০০০ নেহাত কম সংখ্যা নয়। পুলিশ নিয়োগে সময় লাগে। তবু আমি বলেছি বেশি সময় না নিতে। ডাক্তারদের আমি যেমন অনুমোদন দিয়েছি, পিজিটিরা পড়াশোনার পাশাপাশি চিকিৎসাও করবেন। তেমনই এরাও প্রশিক্ষণও নেবে আর পুলিশের ডিউটিও করবে’।

আরও পড়ুনঃ অভিষেকের নামে তুলতেন ‘টাকা’! ফিরহাদ ‘ঘনিষ্ঠে’র বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! জল গড়াল থানায়

এখানেই না থেমে মমতা (Mamata Banerjee) আরও বলেন, ‘৩ মাস, ৬ মাসের প্রশিক্ষণের দরকার নেই। কারণ আমার কাছে অত ম্যানপাওয়ার নেই। তার মধ্যে আবার পুজো চলে আসছে। কেউ কেউ আবার আদালতে চলে যাচ্ছেন। আমি আদালতের কাছে আবেদন করতে পারি না। তবে ১১২ ফুটের প্রতিমা তৈরি করে যদি পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবেন?’

Mamata Banerjee

এদিকে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের যে ঘটনা নিয়ে বর্তমানে সরগরম রাজ্য, সেখানে মূল অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। তা সত্ত্বেও প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ না করেই কেন হাসপাতালের সুরক্ষায় পুলিশ (Police) মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন কর্তা সলিল ভট্টাচার্য বলেন, ‘এভাবে হয় না। পুলিশের প্রশিক্ষণ পুলিশ ট্রেনিং স্কুল বা কলেজে হয়। অফিসার বা সাব ইনস্পেক্টর পদে যারা নিযুক্ত হন, তাঁদের এক বছরের ট্রেনিং হয়। কনস্টেবলদের ক্ষেত্রে অন্তত ৬ মাস ট্রেনিং দেওয়া রীতি। প্রশিক্ষণও নেবেন আবার ডিউটিও করবেন এটা হয় নাকি? তাঁদের শিক্ষার সঙ্গে তো আপোস হচ্ছে! ভুল প্রশিক্ষণ পাবেন তো! প্রশিক্ষণ না হলে ডেলিভারি কীভাবে হবে?’

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর