বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিদিন উঠে আসা একের পর এক নতুন বিতর্কে সরগরম হয়ে পড়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রাঙ্গন। তবে সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি মহারাষ্ট্র ছাড়িয়েও বর্তমানে অন্যান্য একাধিক রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে আর এবার সেই আঁচ এসে পৌঁছালো বাংলাতে। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে মহারাষ্ট্রে একের পর এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে, তো অপরদিকে শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে দ্বারা নতুন দল গড়ার ঘোষণা পর্যন্ত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আবার এদিন সকালেই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED)। আগামীকাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে তাঁকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে আর এই সকল ঘটনা নিয়ে যখন সরগরম হয়ে রয়েছে বাণিজ্যনগরীর রাজনীতি, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতি প্রসঙ্গ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এমন পার্টি দেখেছেন কখনো? এভাবে কখনও গণতন্ত্র চলে? আজ মহারাষ্ট্রে এক নেতাকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নোটিশ পাঠিয়েছে। চারিদিকে এরা মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে চলেছে। মানুষকে ভয় দেখানো এদের একমাত্র উদ্দেশ্য। কিন্তু এটা কেন হবে?”
তবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, অতীতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ করে আসছে একাধিক অবিজেপি দলগুলি। এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পেছনেও গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ শিবসেনার। তাদের মতে, শিবসেনা নেতানেত্রীদের পিছনে সিবিআই ও ইডি লাগিয়ে দেওয়ার কারণে তারা ভয়ে দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে আর এর মাঝেই সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠানো সেই বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছে।
অপরদিকে, বাংলাতেও একাধিক মামলাতে কেন্দ্র এজেন্সিকে বিজেপি ব্যবহার করে চলেছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিকালে, কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীকে পর্যন্ত তলব করে ইডি। এই প্রসঙ্গে এদিন বর্ধমানে সরকারি কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে বর্তমানে বিজেপি তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছে।”