বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ লগ্নে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলে যাচ্ছে, ভক্ত সাধারণের জন্য। তার আগের দিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে মহাপ্রভুর। সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে দিঘায় ছুটছেন ভিন রাজ্যের বহু মানুষ। তবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে বিরাট ঘোষণা সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ঘোষণা
দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ঘিরে সাধারণ মানুষের এই আগ্রহের কারণে যাতে কারও বিপত্তি না হয় তার জন্য আগাম সুরক্ষার কথা ভেবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন দিঘার মন্দির সংলগ্ন এলাকায় টোটো সহ সমস্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। একই সাথে রাজ্য জুড়ে সমস্ত ব্লকে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দিঘা থেকে সরাসরি সেই স্ক্রিনেই সম্প্রচারিত হবে মহাপ্রভুর প্রাণ প্রতিষ্ঠার দৃশ্য।
বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিঘার জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে এই তথ্য দিয়ে, রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ‘জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে সকলে ধীরে ধীরে আসুন। আর প্রাণ প্রতিষ্ঠান দিন নজর রাখুন জায়ান্ট স্ক্রিনে’। জানা যাচ্ছে,সমস্ত ব্লকের জয়েন্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে মহাপ্রভুর প্রাণ প্রতিষ্ঠার সেই দৃশ্য।
প্রসঙ্গত জগন্নাথ ধামের জন্য ইতিমধ্যে মুখ্যসচিবকে মাথায় রেখে ট্রাস্ট গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। ঐতিহ্যবাহী পুরীর মন্দিরের রীতি মেনেই পুজো হবে এই মন্দিরে। একইসাথে পুজো-পদ্ধতি, নিত্য উপাচার, ধ্বজা বদলের কাজ সবই হবে পুরীর মন্দিরের রীতি মেনেই। জানা যাচ্ছে, মন্দিরের ট্রাস্টই সবটা নিয়ন্ত্রণ করবে। ঠিক হয়েছে, মন্দিরের ধ্বজা রোজ বদল হবে পুরীর মন্দিরের ধাঁচেই।
আরও পড়ুন: ‘এটা পেইন ফুল!’ হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, কোন মামলায়?
মন্দিরের জন্য তৈরী জগন্নাথ দেব-সহ তিনটি পাথরের মূর্তি অনেক আগেই আনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে,এই মন্দিরের মূল বিগ্রহ কষ্টি পাথর দিয়েই তৈরী হয়েছে। এছাড়া বাকি দুই মূর্তি তৈরী শ্বেতপাথরে। জানা যাচ্ছে সবটাই তৈরি হয়ে এসেছে রাজস্থান থেকে। তবে নিত্যপুজোর জন্য যে মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা হবে সেটি নাকি নিমকাঠের তৈরী। পুরীর দ্বৈয়িতাপতি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন। অন্যদিকে নিত্যপুজোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষকে।
উল্লেখ্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মন্দিরের প্রসাদের ক্ষেত্রেও। জানা যাচ্ছে মন্দিরে বসেই মিলবে মহাপ্রভুর পুজোর ভোগ। পুরীর জগন্নাথ দেবের ভোগে অন্যতম আকর্ষণ সেখানকার খাজা। তবে দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দিরের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় মিষ্টিতেই। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সাথে যেহেতু কালীঘাটের মা কালীর মন্দিরের যোগসূত্র থাকছে তাই সেই সূত্রেই দিঘার মন্দিরের মূল ভোগে পেঁড়া আর ছানার মুড়কি থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।