পুজোর আনন্দে ঘরে ফিরবেন ৪৫ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি, রাজ্যের বড় সিদ্ধান্ত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুজোর আগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী যাদের ইতিমধ্যে ১৪ বছর কারাবাস হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন ৪৫ জন যাবজ্জীবন আসামিকে এবার মুক্তি দিচ্ছেন রাজ্য সরকার। কারণ বন্দী জীবনে এদের আচরণ ভালো ছিল তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আচরণ ভালো থাকায় দুর্গাপুজোর আগেই মুক্তি ৪৫ বন্দির (Mamata Banerjee)

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি বন্দীদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। সমাজ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সংশোধনাগারের কাজ অপরাধীদের মানসিকতা পরিবর্তন করে, তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা’। যাবজ্জীবন সোজাপ্রাপ্ত আসামী ১৪ বছর বা তার বেশি সময় ধরে বন্দি থাকার পর মুক্তির জন্য আবেদন করতে পারে। আদালত বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তাদের মুক্তির কথা রাজ্য সরকারকে জানায়। তারপরই সংশোধনাগারে সেই বন্ধুর আচরণ কেমন ছিল ও অপরাধী মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে কিনা সেইসব একাধিক বিষয় জেনে আইনের নিয়মানুযায়ী বন্দীদের মুক্তি দেয় রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষায় নতুন নির্দেশিকা জারি পর্ষদের

মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে পোস্ট করে জানান, ‘যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মানুষদের মধ্যে, যাঁদের ইতিমধ্যেই ১৪ বছরের বেশি বন্দিদশা সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। তাঁদের অনেককেই আমাদের সরকার আইন মেনে মুক্তি দিয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৪০জন এরকম মানুষ ছাড়া পেয়েছেন। আরও ৪৫ জনকে আইনের পথে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আমি তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের সকলকে আমার অভিনন্দন জানাই।’

যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত মানুষদের মধ্যে যাঁদের ইতিমধ্যেই ১৪ বছরের বেশি বন্দিদশা সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, তাঁদের অনেককেই আমাদের সরকার আইন মেনে মুক্তি দিয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে এখনো পর্যন্ত ৮৪০ জন এরকম মানুষ ছাড়া পেয়েছেন। আরো ৪৫ জনকে আইনের পথে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আমি তাঁদের ও তাঁদের…

— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 18, 2025

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আরও লেখেন, ‘আমি জেনেছি, বন্দিজীবনে এঁদের আচরণ ভালো ছিল। তারই স্বীকৃতি এই মুক্তি। সংশোধনাগারের কাজ অপরাধীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে তাঁদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। আমি আশা করব, এই মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা তাঁদের নতুন ও মুক্ত জীবনে সুনাগরিক হয়ে উঠবেন। তাহলেই আমাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে।’

প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কলকাতার বাসিন্দা সুব্রত সরকারকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে তাকে সব রকমের সাহায্য করছে। এবং তিনি বর্তমানে প্রতিদিন রাজবিহারী থেকে বেহালা রুটে অটো চালায়।