বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরিকতা সংশোধন আইনের (CAA) প্রতিবাদে গতকালের পর ফের আজকেও পথে নামলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। বিপ্লবীদের আখারা যাদবপুরের ৮বি বাস স্ট্যান্ড থেকে এই মিছিল শুরু হয় আর শেষ হয় গিয়ে যদুবাবুর বাজারে। আগামী কালও আরেকটি মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আগামী কাল হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হাঁটবেন তিনি। গতকালের মিছিলে স্বতঃস্ফূর্ত সারা পাওয়ার পর মমতা ব্যানার্জীর প্রতিবাদের সুর এখন তুঙ্গে।
আজকে মিছিল শুরু হওয়ার আগে তিনি একের পর এক আক্রমণে কেন্দ্র সরকারকে (Modi Sarkar) বিঁধতে থাকেন। তিনি বলেন স্বাধীনতার ৭৩ বছর আমাদের প্রমাণ করতে হচ্ছে আমরা নাগরিক কিনা। মোদী সরকার কায়দা করে ভোটে জিতে ভেবে নিয়েছে ওঁরা দেশ জয় করে নিয়েছে। সংখ্যা থাকলেই বিল পাশ করানো যায়, কিন্তু মোদী সরকার কি সংবিধান মেনে বিল পাশ করিয়েছে? ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, মোদী সরকারের মাথা থেকে এটা চলে গেছে।
উনি আরও বলেন, কবে বিল পাশ হবে আগে জানানো হয়নি। উনি এই প্রসং সংসদে নুসরত জাহান, দেব আর মিমির অনুপস্থিতি নিয়ে তোলেন। তিনি তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, সেদিন ওর শুটিং ছিল, একটি শুটিংয়ে ৩০০ মানুষ রুজি রুটি পায়। উনি মোদী সরকারের উপর অভিযোগ এনে বলেন, দুপুরে বিল পেশ করে রাতে পাশ। আর এই জন্যই আমাদের অনেক সাংসদ পৌঁছাতে পারেনি।
গায়ের জোরে সব হয়না মোদী সরকারকে বুঝিয়ে দিতে চান মমতা ব্যানার্জী। তিনি মোদী সরকারের উপর অভিযোগ এনে বলেন, বাজারে আগুন। পিঁয়াজ আলুর দাম দ্বিগুণ। আর উনি আমাদের নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে ভুলিয়ে রাখছেন। মমতা ব্যানার্জী বলেন, রাজ্যে দুই একটা ছোট্ট ঘটনা ঘটেছে, আর তাতেই রেল বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার! কত মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।
আপানদের জানিয়ে রাখি, রাজ্যে রেলে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জারি করেছে রেল। ওই রিপোর্টে ১০০ কোটির বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলা হয়েছে। শুধু ট্রেনে আগুন আর রেল লাইন উপরে ফেলেই শান্ত হয়নি উপদ্রবিরা। রেলের টিকিট কাউন্টারে ঢুকে কয়েক লক্ষ টাকা লুঠে নিয়ে পালিয়েছে তাঁরা! আর রেলের এই ১০০ কোটির ক্ষতিকে ছোট্ট ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।