সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে BSF-এর দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী, পাল্টা দাবিতে জমি চাইলেন শুভেন্দু

Published on:

Published on:

Mamata Banerjee blames BSF over infiltration

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ BSF কি শুধুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী, না কি রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু? বাংলার রাজনীতিতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই প্রশ্ন। একদিকে অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অন্যদিকে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিতর্কে নাম জড়াল বিএসএফ, প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুশব্যাক ইস্যু।

BSF -এর দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

বুধবার রাজপথে মিছিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশের নাগরিকদের পুশব্যাক এবং বাঙালির অস্মিতা রক্ষার দাবিতে সেই মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে সভা করেন তিনি। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, সবই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে। তাহলে অনুপ্রবেশ রোখার দায়ও তাঁদের।” অনুপ্রবেশ (infiltration) ইস্যু যে কোনও নতুন বিতর্ক নয়, তা পরিষ্কার। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেতৃত্ব আবার কেন্দ্রের বাহিনীকে নিশানা করলেন।

পাল্টা শুভেন্দুর তোপ, আগে জমি দিন, তারপর দোষ দিন

মমতার (Mamata Banerjee) এই বক্তব্যের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “আপনি তো BSF -কে ৫৪০ কিলোমিটার জমিই দেননি কাঁটাতার বসাতে। ২০১৬ থেকে কেন্দ্র আবেদন করছে। আপনি জমি দেবেন না, আর দোষও তাঁদের দেবেন?” সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে এতদিন ধরে যে টানাপোড়েন, এবার তা খোলাখুলি রাজনীতির ময়দানে চলে এল।

জট কাটাতে উদ্যোগ রাজ্যের, জমি হস্তান্তরের নির্দেশ

তবে শুধু বিতর্ক নয়, সম্প্রতি কিছু বাস্তব পদক্ষেপও দেখা গিয়েছে। নবান্ন বিএসএফ-কে দ্রুত ৩৫৬ একর জমি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। জেলাশাসকদের কাছে সেই নির্দেশ ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ প্রশাসনিক স্তরে কাজ চলছে, কিন্তু রাজনীতিতে উত্তেজনা কমার নাম নেই।

Mamata Banerjee blames BSF over infiltration

আরও পড়ুনঃ বাদল অধিবেশনের আগেই ইন্ডিয়া জোটে ফাটল! বৈঠকে নেই আপ, ‘ভার্চুয়াল’ যোগ দেবেন অভিষেক

ভিডিও ক্লিপে মমতার বক্তব্য এখন ভাইরাল। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা ও অনুপ্রবেশ প্রশ্নে কেন্দ্র-রাজ্যের দায় এড়ানো চলবে না। তবে রাজনৈতিক উত্তাপ যে এখানেই থামছে না, সেটা স্পষ্ট।