বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার রাতের রেকর্ড বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা। মঙ্গলবার পেরিয়ে বুধবারেও কলকাতার বহু এলাকায় এখনও হাঁটু সমান জল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জলযন্ত্রণার জন্য কেন্দ্র সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কলকাতায় জল জমা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অভিযোগ, ফরাক্কা ব্যারেজে কোনও ড্রেজিং হয় না। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ডের জল গঙ্গার স্রোতে পশ্চিমবঙ্গে এসে জমছে। এর সাথে মুখ্যমন্ত্রী মহালয়ার সময়ে ভরা জোয়ার ও হাই টাইডের প্রভাবের কথাও তুলে ধরেছেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী দাবি জানিয়ে বলেন, “কলকাতায় আমরা জল জমা অনেকটাই কমিয়েছি। কিন্তু এবারে আমাদের সামলাতে হচ্ছে বাইরের রাজ্যের জলও। ফরাক্কা, পাঞ্চেত, ময়ূরাক্ষীর ড্রেজিংয়ের টাকা দেওয়া হয়নি।”
এদিন বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মমতা (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ জানিয়ে বলেন, “যাঁরা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার করছেন, তাঁদের বলব, এগুলো করবেন না। প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। উত্তরাখণ্ডে, দিল্লিতে, মহারাষ্ট্রে যখন বন্যা হয়েছিল, আমরা ভদ্রতা দেখিয়েছি। আপনাদেরও ভদ্রতা মানা উচিত।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) সরাসরি প্রশ্ন তুলে বলেন, “ফরাক্কার ড্রেজিং কেন করান না?” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পলিমাটি জমে গিয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশের জল এখানে ঢুকছে।
এদিন শহরে জলের স্থায়ী সমস্যার পিছনে মেট্রো প্রকল্প ও অন্যান্য সংস্থার কাজের গাফিলতিকে দায়ী করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, “দিনের পর দিন রাস্তায় মেটিরিয়াল ফেলে রাখা হচ্ছে। আজ সকালে NKDA জানিয়েছে, ওদের মেটিরিয়াল নালিতে পড়ে জমে গিয়েছে। জল বেরোতে পারছে না। দায়িত্ববান হন। রাস্তা জুড়ে জিনিসপত্র ফেলে রাখবেন না।”
আরও পড়ুনঃ অচল কলকাতা! বুধেও জলমগ্ন শহর, কোথায় কোথায় এখনও জমে জল?
বিদ্যুত্স্পৃষ্টে মৃত্যুতে সিইএসসিকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
মঙ্গলবার সকাল থেকেই জলমগ্ন কলকাতায় একের পর এক বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। অন্তত ৮-৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানান মমতা। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা প্রাইভেট সেক্টর, বাম আমল থেকে আছে। তারগুলো ঠিক করুন। সিইএসসি দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।” এছাড়া এদিন মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার জন্যও দাবি জানান।