পিতৃসম মিঠুনকে ‘গদ্দার’ তকমা মমতার! ‘ওই ফুটেজটা দেখাও…’! হঠাৎ যা বললেন দেব, শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিনি সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। প্রতিপক্ষকে কটু কথা নয়, বরং সম্মান প্রদর্শনেই আস্থা রাখেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev)। রাজনৈতিক মতাদর্শগত পার্থক্যের আঁচ কখনও ব্যক্তিগত সম্পর্কে পড়তে দেন না তিনি। দেব-মিঠুনের (Dev Mithun Chakraborty) বাবা-ছেলের মতো সম্পর্ক দেখলেই বেশ বুঝে নেওয়া যায় সেই কথা।

সম্প্রতি দেবের ‘বাবার মতো’ মিঠুন চক্রবর্তীকেই (Mithun Chakraborty) আবার ‘গদ্দার’ তকমা দিয়েছেন তাঁর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল সুপ্রিমো সম্প্রতি বলেন, ‘এই মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। তখন তো আমি জানতাম না ও এত বড় গদ্দার’। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে দেবকে জিজ্ঞেস করা হয়। জবাবে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী সাফ বলেন, এই ধরণের শব্দে আপত্তি রয়েছে তাঁর।

লোকসভা ভোটের আবহে দিন-রাত প্রচার করছেন দেব। ঘাটাল (Ghatal) তো বটেই, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, হাওড়াতেও প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই ব্যস্ততার মাঝেই সময় বের করে বৃহস্পতিবার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের স্টুডিওয় হাজির হন ঘাটালের বিদায়ী সাংসদ। সেখানে একাধিক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে।

আরও পড়ুনঃ BJP-র মহিলা কর্মীকে ‘সেক্স ওয়ার্কার’ বলে গালিগালাজ, এজেন্টকে মারধর! কমিশনের দ্বারস্থ সুকান্ত

মিঠুনকে ‘গদ্দার’ তকমা দেওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে দেব যেমন পরিষ্কার বলেন, ‘আমার এই শব্দগুলো খুব এটা পছন্দ নয়। দিদির এই ফুটেজটা দেখালে মোদীজির ফুটেজটাও দেখান। যেখানে উনি দিদি ও দিদি বলছে। যে ইভটিজিংটা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন মানুষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সম্বন্ধে একথা বলছেন। হাজার হাজার মানুষ সেকথা শুনছে। তা সে দাদা হোক বা দিদি। ভোট এলেই তো আমরা হিন্দু-মুসলিম হয়ে যাই। আমি এই শব্দগুলোর বিপক্ষে’।

এরপর র‍্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে মিঠুন প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘মিঠুনদা আমার বাবার মতো। ওনার শরীর খারাপ হলে যদি কিডনির দরকার হয়, আমি তাহলে ওনাকে কিডনিও দিয়ে দিতে পারি’। বর্ষীয়ান তারকাকে দেব কতখানি সম্মান করেন তা তাঁর কথা থেকেই পরিষ্কার।

Dev Mithun Chakraborty

দেব-মিঠুনের সুসম্পর্কের কথা কারোর অজানা নয়। বড়পর্দায় তাঁদের জুটি যেমন সুপারহিট, বাস্তবেও তাই। দেবকে যখন ইডির তরফ থেকে তলব করা হয়েছিল সেই সময় তাঁর অনস্ক্রিন বাবা মিঠুন বুকে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘ও ওই রকম ছেলে নয়’। আবার দেবও একসময় বলেছিলেন, ‘যে রাজনীতি সম্পর্ককে সম্মান করে না, আমি সেই রাজনীতি করি না। আমি ১০ বছর ধরে এটা মেনে আসছি। আমার কাছে আমার কাছের মানুষেরা, আমার সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাঁরা কোন দলের অংশ, কী ভাবছেন সেটা আমার কাছে জরুরি নয়’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর