বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের হাথরস (hathras) কান্ডের প্রতিবাদের আঁচ বাংলাতেও এসে পড়েছিল। এই নৃশংস্য ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) শনিবার বিকেল চারটেয় তিলোত্তমার বুকে এক প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। আজ এই মিছিল বিড়লা তারামণ্ডল থেকে শুরু হয়ে মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
গান্ধীমূর্তির পাদদেশে একটি ছোট প্রতিবাদী মঞ্চেরও আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকশ তৃণমূল সদস্য। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘এই করোনা পরিস্থিতিতে বিগত ৬-৭ মাস ধরে কোনরকম মিটিং মিছিলে আমার সম্মতি না থাকলেও, উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। আমার মন পড়ে রয়েছে উত্তপ্রদেশের সেই গ্রামে। মনে হচ্ছে এখনই সেখানে ছুটে যাই’।
এই প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কড়া কণ্ঠে আরও বললেন, ‘কোথাও কোনও অপরাধ হলে প্রথমে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে, নিয়ম অনুযায়ী বিচার হয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে ওই মেয়েটির উপর নির্যাতন হওয়ার পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে না দিয়ে দাহ করে দিল বিজেপি সরকার! এমনকি ওর পরিবারের সঙ্গে কাউকে দেখাও করতে দিচ্ছে না। এ আবার কেমন বিচার বলুন তো!’
হাথরস মামলার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনসহ ৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজে সেখানে না যেতে পারায় তাদের পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদেও এদিন সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী, ওঁরা গ্রামের এক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেলেও, ওদের সেখানে আটকে দেওয়া হয়। একজন মহিলার গায়ে হাত দিচ্ছে পুলিশ কর্মীরা! ভদ্রতা কোথায়! সাংবাদিকদের গ্রামের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না! ধর্না দেওয়া হচ্ছে!’
এদিনের এই প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে বাংলা অপেক্ষা হিন্দিতেই বেশি কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে তাঁর এই প্রতিবাদের ভাষা গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। ওই মঞ্চ থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘কয়েকবছর আগে সিঙ্গুরেও এরকম একটা ঘটনার প্রতিবাদে আমি ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। তাই আমি এবারও সেখানে যাবই, আজ নয়ত কাল। আপনার কেউ জানতে পারবেন না’।