বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প আজ ১২ বছর পূর্ণ করল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে আজ থেকে ১২ বছর আগে মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া, সমাজে তাদের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা এবং আত্মনির্ভরশীল করা লক্ষ্য করে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। বিশ্বের মঞ্চেও খ্যাতি অর্জন করেছে এই প্রকল্প।
বাংলার কন্যাশ্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) লেখেন…
আজকের এই বিশেষ দিন উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার সকল কন্যাশ্রী দের অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, “আজ কন্যাশ্রী দিবস। আমাদের সকলের গর্বের কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ ১২ বছরে পা দিল। সারা বিশ্ব জুড়ে, সারা দেশ জুড়ে, সারা বাংলা জুড়ে সকল কন্যাশ্রীদের জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন।” এরপর তিনি আরও লেখেন, “সমাজে মেয়েদের ক্ষমতায়ণের ক্ষেত্রে এতো অল্প সময়ে এতো বড় প্রভাব অন্য কোন সরকারি প্রকল্পের আছে বলে আমার অন্তত জানা নেই! তাইতো বিশ্বের দরবারেও এটা এতো আদৃত-৬২টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে United Nations Public Service Award বিজয়ী।”
এরপর মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) বলেন, “আমি সবসময় মনে করি, যে সমাজে মেয়েরা ভালো থাকে না, সেই সমাজ কখনো ভালো থাকতে পারে না। সমাজের উন্নয়নের জন্য দরকার মেয়েদের ক্ষমতায়ন। এটা আমার গর্ব, আজ আমাদের রাজ্যে ৯৩ লক্ষের বেশি ‘কন্যাশ্রী’। এই প্রকল্পে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সাড়ে সতেরো হাজার কোটি টাকা। আমরা শুধু মুখে women empowerment এর কথা বলি না। আমরা করে দেখাই। আমি সকল কন্যাশ্রীদের বলব জীবনে অনেক বড় হও এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করো, রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করো। তোমরাই একদিন বিশ্ব বাংলা গড়বে। তোমরাই বিশ্বে সম্মানের মুকুট নিজেদের মাথায় পরবে।”
উল্লেখ্য, বাংলায় বর্তমানে ৯৩ লক্ষ কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এসেছে। আজ দুপুরে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে এই প্রকল্পের দ্বাদশ বর্ষপূর্তি পালিত হবে। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরে এই ১২ বছরের প্রয়াস আরও দৃঢ়ভাবে সমাজে মেয়েদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র, নীতিগত সিদ্ধন্ত নিল মমতার সরকার
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) উদ্যোগে চালু হওয়া কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ ১২ বছরে পা দিলেও এর প্রভাব আগামী প্রজন্মের মেয়েদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে স্থায়ী হবে। শুধু বাংলায় নয়, বিশ্বমঞ্চেও এই উদ্যোগের মডেল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে, যা সরকারি প্রকল্পে সমাজ পরিবর্তনের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।