বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের পোষাকের রঙ বদলাতে চলেছে। নীল সাদা সেই পোষাকে থাকবে বিশ্ববাংলার লোগও। এই ইস্যুতে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম পশ্চিমবঙ্গ। এবার এই স্কুল ইউনিফর্ম এবং লোগো প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গেল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম বিধবাভাতার অনুষ্ঠান থেকেই সরব হলেন মমতা। তিনি বলেন,’ আমি আমার বাংলা নামটাকে ভুলে যাই কী করে? সরকারি স্কুলে জুতো, পোশাক দিই। তাতে একটা লোগো থাকবে। তারা বাংলার নাম গর্ব করে বলবে। কে একটা কোর্টে গিয়ে বলল তৃণমূলের লোগো। খোঁজ রাখে না। সবকিছুতেই তৃণমূলের দোষ। লোগোটা আমি তৈরি করেছিলাম। তৈরি করে বাংলা সরকারকে দিয়েছিলাম। সরকারের যত লোগো সবই আমার করে দেওয়া। তার জন্য পয়সা নিই না। বেসরকারি স্কুল ইচ্ছামতো ব্যাজ ব্যবহার করতে পারে। সরকারি স্কুলও করতে পারে। বারণ করিনি। শুধু স্কুলের পোশাকে একটা লোগো থাকবে।’ দিল্লিকেও এত হাত নিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘ভারত সরকার স্ট্যাম্প লাগাতে পারে। বাংলার সরকার পারে না। দিল্লির লোকেরা নিজেদের ছবি লাগিয়ে দিত। আমরা সেসব করি না।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের পোষাকের রঙ বদলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। সেই পোষাকও সরকার থেকেই পড়ুয়াদের দেওয়া হবে বলেই খবর। কিন্তু সমস্ত স্কুলে একই রঙের পোষাক এবং বিশ্ববাংলার লোগোকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। এই ইস্যুতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বাম ছাত্র সংগঠন এআইএসএফের তরফে সৌমেন হালদার নামের এক আইনজীবী। এদিন তাঁকেও যে বিঁধতে ছাড়লেন না মমতা তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, এদিন ইউনিফর্ম বিতর্কে মুখ খুললেও এখনও অবধি রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডের কোনও রকম মন্তব্য করতে শোনা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র এবং পুলিশমন্ত্রীও তিনি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তুমুল ভাবে। পুলিশ মন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপালও। কিন্তু এতকিছুর পরও কার্যতই মুখে কুলুপ মুখ্যমন্ত্রীর। তবে কি এড়িয়ে যেতে চাইছেন তিনি বিষয়টি? নাকি তাঁর এই নীরবতা বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।