বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ইতিমধ্যেই তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। আবার অপরদিকে, দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখে শাসকদলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এর মাঝে এদিন অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর প্রশ্ন, “অনুব্রতকে কেন গ্রেফতার করা হলো?” এছাড়া বিজেপিকেও (BJP) আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই ঘটনায় দল থেকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। তবে অনুব্রত গ্রেফতারি ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি দল। উল্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তারা। এর মাঝে স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন বেহালা পশ্চিমে পার্থর বিধানসভা এলাকায় পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এলাকাবাসীর মধ্যে জল্পনা উঠতে শুরু করে, তবে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ঘটনায় মুখ খুলবেন মুখ্যমন্ত্রী?
যদিও পার্থ প্রসঙ্গে ‘আইন আইনের পথে চলবে’ বললেও পরবর্তী সময়ে মমতার গলায় উঠে আসে অনুব্রত প্রসঙ্গ। বীরভূমের জেলার সভাপতি ও তাঁর ‘প্রিয়’ কেষ্টকে এক প্রকার সমর্থনের পথে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “সাংসদ কিংবা বিধায়ক কিছুই হতে চায়নি অনুব্রত। ওকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইলেও ও রাজি হয়নি।” এরপরই মমতা জানান, “প্রতিবার যখনই নির্বাচন আসে, তখন কেষ্টকে নজরবন্দি করে রাখা হয়। এখন গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু অনুব্রতকে কেন গ্রেফতার করা হলো? কি হবে?” এদিন বেহালা পশ্চিম থেকে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি অনুব্রতর মৃত স্ত্রীয়ের কথাও উঠে আসে মমতার গলায়। তিনি জানান, “অনুব্রতর শরীর ভালো নয়। একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে ওর। সম্প্রতি স্ত্রী মারা গিয়েছে। ওর স্ত্রী যখন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়, তখন পাশে থাকার পরিবর্তে নির্বাচনের কাজে অনুব্রতকে মন দেওয়ার কথা বলেন।” এর পরেই বিজেপির সরকার ভাঙার খেলাকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমাকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। আমার ইমেজ কিভাবে নষ্ট করতে হবে, খালি সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। ওরা ঝাড়খণ্ডে সরকার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমাদের পুলিশ ওদের সেই চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছে।”