বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজো শেষ। চলছে রাজনৈতিক দলগুলির বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। উৎসবের মেজাজের মধ্যেই এখন দল গোছানোর হিড়িক। তৃণমূল থেকে বিজেপি, সব রাজনৈতিক শিবিরেই এখন একটাই বার্তা, “ঘর গোছাও, ভোট আসছে।” ঠিক এই সময়েই পাহাড়ে থেকেও নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের কর্মীদের উদ্দেশ্যে ফোনে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা ভবানীপুরের বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
ভবানীপুর নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বললেন…
তবে সেই বার্তায় শোনা গেল এক অন্য সুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি দেখছি অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে বড়বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। আমি এটা সাপোর্ট করি না। আমাদের ভোটারদের তাড়িয়ে দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি কিন্তু যাঁরা বাংলায় থাকেন তাঁদের আউটসাইডার বলছি না, কিন্তু ভবানীপুর এখন বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা পুরো প্ল্যানিং করে করা হচ্ছে।”
মমতার (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে ভবানীপুরে ঠিক কে বা কারা গরিব ভোটারদের সরিয়ে দিচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগে উঠে এসেছে উন্নয়নের নামে উচ্ছেদ-প্রবণতার ইঙ্গিত।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরের রাজনৈতিক তাপমাত্রা এমনিতেই চড়া। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বহুবার বলেছেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব।” এবার সেই কেন্দ্র নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে।
ফিরহাদের পাল্টা জবাব
তৃণমূলের জ্যেষ্ঠ নেতা ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “অনেকে আছে যারা বলতে থাকে আলিপুরে জিতব, ভবানীপুরে তৃণমূলকে হারাব। তাদের পাগল-ছাগল ছাড়া কিছু বলা যায় না।” তিনি আরও বলেন, “ভবানীপুরের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেন, গর্বের সঙ্গে দেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দেওয়া ভবানীপুরবাসীর সম্মানের বিষয়।” ফিরহাদ হাকিম এদিন অভিযোগ জানিয়ে আরও বলেন, “রাতের অন্ধকারে হাত করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে SIR করে ভোট চুরি করতে চাইছে ওরা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন শেষ কথা নয়, শেষ কথা বলবে সাধারণ মানুষ।”
মমতার এই মন্তব্যে ভবানীপুরের রাজনৈতিক সমীকরণ নতুন মোড় নিচ্ছে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ‘বহিরাগত’ ও ‘উচ্ছেদ’-চিন্তা, অন্যদিকে বিরোধীদের ‘হারাব’ চ্যালেঞ্জ। ভোটের আগে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মন্তব্যেএখন হাওয়া গরম ভবানীপুরে।