বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের ব্লক স্তরের কাজকর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্প্রতি প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নিচুতলার অনেক কর্মী সরকারি জমি সংক্রান্ত পরিষেবার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঘুষ (Bribe) নিচ্ছেন। সেই মন্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় গোটা দফতরজুড়ে নজরদারি।
রাজ্যের ব্লকে ব্লকে পৌঁছচ্ছে নবান্নের দল
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে সরকারি প্রতিনিধিদের ছোট ছোট দল গঠন করে পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। বিশেষ করে যেসব ব্লক অফিস নিয়ে অতীতে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি প্রাথমিক পর্যায়ে টার্গেট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক ব্লকে রুটিন অডিট শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন জমি রেকর্ড সংশোধন, মিউটেশন, খতিয়ান ইস্যু, জমা নেওয়ার মতো বিষয়গুলি কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে কিছু ব্লক অফিসে ‘অস্বাভাবিক নথি অনিয়ম’ (Record Irregularity) নজরে এসেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। কোথাও জমির কাগজপত্রে গড়মিল, কোথাও অকারণে কাজ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। একটি সূত্র জানাচ্ছে, বেশ কয়েকটি ব্লক অফিসে ভূমি সহায়কদের কাজকর্ম ঘিরেই প্রশ্ন উঠেছে। কিছু ক্ষেত্রে তদ্বিরে নথি হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগও জমা পড়েছে।
ভিডিও নজরদারি ও রিপোর্ট জমা
একাধিক অফিসে এখন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিনিধিদলগুলির কাছে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ শুনে তার ভিত্তিতেই তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট। রাজ্য প্রশাসন চাইছে, গ্রামীণ স্তরের ভূমি অফিসের স্বচ্ছতা ফেরাতে এই অডিটকে একটা স্থায়ী রূপ দেওয়া হোক। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ শুক্রবার দুর্গাপুরে মোদীর জনসভা, মঞ্চে আমন্ত্রণ নেই, ‘এখনো সময় আছে’ বললেন দিলীপ
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বারবার বলে এসেছেন, ‘সরকারি পরিষেবা মানুষকে সম্মান দিয়ে দিতে হবে।’ কিন্তু যেভাবে ব্লক স্তরের ভূমি অফিসে (Block Land Office) ঘুষ ও দালালচক্রের অভিযোগ উঠছে, তাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেই মনে করছে নবান্ন। সেই ভাবমূর্তি ফেরাতে এবং ‘দুর্নীতির ঘুঁটে’ ফাটল ধরাতে এই অডিট কার্যক্রমকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।