তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) নাগরিকত্ব সংশোধন বিল ও NRC এর বিরুদ্ধে বিরোধ প্রদর্শনের ঘোষণা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ঘোষনা করা হয়েছে। রাজ্যসভায় CAB বিল পাশ হওয়ার পর থেকে কট্টরপন্থীরা দেশজুড়ে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তা থামানোর নাম নিচ্ছে না। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ওর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী NRC ও CAB এর উপর বিরোধ প্রদর্শন করার কথা ঘোষণা করেছেন।
১৬ ডিসেম্বর ও ১৭ ডিসেম্বর থেকে CAB ও NRC এর বিরুদ্ধে বিরোধ প্রদর্শনের ঘোষণা করেছেনমুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শুক্রবার দিন দুপুর থেকে কট্টরপন্থীরা আতঙ্কবাদীদের মতো ব্যাবহার করতে শুরু করে। চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের লক্ষ করে পাথর ছোড়া, এম্বুলেন্স ওর পথ আটক করে ভাঙচুর চালানো, স্টেশনে ভাঙচুর ইত্যাদি নানা অপরাধ মূলক কার্যকলাপ চালায় কট্টরপন্থীরা। উলুবেড়িয়ায় দূর পাল্লা ও লোকাল ট্রেন আটক করে ভাঙচুর চালানো হয়। বেলডাঙায় পুরো স্টেশন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়।
তবে আতঙ্ক এখনও শেষ হয়নি। আজ সকাল থেকে কট্টরপন্থীরা CAB এর উপর প্রতিবাদ জানানোরহাওড়ায় গরফা ব্রিজের কাছে ৬ টি বাসকে ভাঙচুর করা হয়েছে। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ৬ টি বাসকে ভেঙে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর সামনে এসেছে। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের সুতিতে ৩ টি বাসকে ভাঙচুর করা হয়েছে।
কাশ্মীরে যেভাবে পাথরবাজরা পাথর ছুঁড়ে সেই একই কায়দায় পুলিশদের উপর পাথর বৃষ্টি করা হয়েছে। কট্টরপন্থীদের উপদ্রবে বহু জায়গায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। হাওড়া দক্ষিণপূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত রয়েছে। সাকরাইলেও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানী দিল্লিতেও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা CAB বিল নিয়ে বিরোধিতা করতে নেমে ছিল। যার পর দিল্লী পুলিশ বেধড়ক লাঠি চার্জ করে ছাত্রদের তাড়া করেছিল। দিল্লীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে।