বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের আবহে রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলোর কাজ ঠিকঠাক চলছে কি না, তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ করল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে রাজ্যের ২৩ জেলার জন্য ২৩ জন আমলাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি এবার তাঁরাই খতিয়ে দেখবেন।
২৩ জেলার জন্য ২৩ আমলা, মমতার (Mamata Banerjee) বিশেষ দায়িত্ব
কলকাতা সহ রাজ্যের সবকটি জেলাতেই আলাদা করে একজন করে সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছে নবান্ন। সরকারি সূত্রের খবর, বেশ কিছু বড় সামাজিক প্রকল্পের কাজ থমকে আছে কি না বা ঠিকঠাক চলছে কি না, তা বোঝাতেই এ তদারকি।
এসআইআর (Special Intensive Revision)-এর চলতি পরিস্থিতিতে কিছু জেলাশাসকের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) স্পষ্ট নির্দেশ দেন যে, এসআইআর নিয়ে কোনও চাপ নেবেন না, উন্নয়নের কাজ যাতে একটুও বন্ধ না হয়।
মমতার উন্নয়ন রিপোর্ট কার্ডে ৯৫টি প্রকল্প
১ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ১৪ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জানান, রাজ্যে এখনও ৯৫টি প্রকল্প চলছে। এর মধ্যে ‘বাংলা আবাস যোজনা’, ‘পথশ্রী’, ‘রূপশ্রী’ এবং ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’, এসব প্রকল্পে বাড়তি নজরদারি দিতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশের পরই সচিবদের জন্য নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কীভাবে কাজ হবে নজরদারি?
সচিবদের জেলাভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাজ হল –
- প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি দেখা
- কোথাও কাজ আটকে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা
- জেলাশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা
রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের আগে মানুষের কাছে সরাসরি উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ।
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা আসলে উন্নয়নের কাজ নয়। ফেক ভোটার তালিকা তৈরি করার জন্যই এই সব করা হচ্ছে। গতকাল শুনলাম ৫০ লক্ষ নাম বাদ গেছে। এখন নাকি ৭ কোটি নাম আসতে চলেছে। ভুলভাল ফিল-আপ করলে সবাইকে শুনানিতে যেতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ SIR রিপোর্টে চমক! ৫২ লক্ষ ভোটার নেই তালিকায়, হিন্দু বেশি না সংখ্যালঘু?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটের আগে জনমুখী প্রকল্পকে সামনে রেখেই মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee), তাই এত তদারকি বাড়ানো হয়েছে।












