বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নরেন্দ্র মোদির বাংলা সফরে আসার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলনে নেমেছে সিপিএম ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনগুলো।কাল বিরোধী জোট দিল্লিতে বৈঠকে বসে সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবেন না বলে দিয়েছেন এবং সেই নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সিপিএম নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাত্রা যায়নি, এখানে যাত্রা দেখবেন বলে।” এছাড়া কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়,” মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনে সাক্ষাৎ গোপন ছিলো বলে দাবি করেছেন সৌমেন মিত্র।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩০ মিনিট বৈঠক করেন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবি কেন্দ্রের কাছে জানায়। এছাড়াও সিএএ বিল সংশোধন করা হয় সেই বিষয়েও তিনি দাবি জানান।
পাল্টা নরেন্দ্র মোদি বলেন, “যদি কোন ভুল থাকে তাহলে আপনি দিল্লিতে আসুন এই বিষয়ে কথা হবে।” নরেন্দ্র মোদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আরও বলেন,” আয়ুষ্মান ভারত যা কেন্দ্রে রয়েছে তা গরিব মানুষের সুরাহা দেবে। সেগুলো যেন বাংলায় চালু করা হয়। ”
এই দুই বৈঠকের পরে নরেন্দ্র মোদি মিলেনিয়াম পার্কে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করেন হাওড়া ব্রিজে।সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখান থেকে ছাত্রদের আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন কিন্তু কাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি উপস্থিত হননি। রাজ্যের রাজ্যপাল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইন্দোর স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখেন। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। আমন্ত্রণ পত্র পাওয়ার পরও তিনি উপস্থিত হয়নি এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
তাহলে কি তিনি রাজনীতি পরিকল্পনা করছেন! তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, “মানুষের সামনে আসতে মমতা ব্যানার্জী ভয় পাচ্ছে।” এখন দেখার বিষয় তৃনমূল -বিজেপি কোন সমীকরন করে আগামী ভোটে, সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।