বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার বহু শিশু জন্ম থেকেই নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মায়। কারও হৃদযন্ত্রে সমস্যা, কারও মুখে ক্লেফট লিপ বা প্ল্যালেট, আবার কারও ক্লাবফুট। এইসব রোগের চিকিৎসা না হলে শিশুর ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়ে। কিন্তু এইসব চিকিৎসার খরচ এত বেশি যে সাধারণ পরিবারের পক্ষে তা বহন করা প্রায় অসম্ভব। সেই কারণেই এবার রাজ্য সরকার অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হল এক মানবিক উদ্যোগ।
শিশুদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নতুন পদক্ষেপ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প ‘শিশুসাথী’ এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের শিশুদের বিনামূল্যে নানা রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করত। কিন্তু কিছু জন্মগত ও দূরারোগ্য অসুখ এই প্রকল্পের আওতায় ছিল না। এবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এবার থেকে ‘শিশুসাথী’ প্রকল্পের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও কয়েকটি গুরুতর অসুখ।
দূরারোগ্য হৃদরোগও এবার ‘শিশুসাথী’-র অন্তর্ভুক্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, এখন থেকে ক্লেফট লিপ, ক্লেফট প্ল্যালেট, ক্লাবফুটের পাশাপাশি শিশুদের জটিল হৃদরোগের চিকিৎসাও করা হবে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অভিভাবকদের আর চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালেই বিনামূল্যে এইসব চিকিৎসা হবে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে অন্তত ৬৩ হাজারের বেশি শিশু এইসব দূরারোগ্য সমস্যায় ভুগছে। এই নতুন উদ্যোগের ফলে তারা সকলেই ‘শিশুসাথী’ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
বরাদ্দ ৩০০ কোটি টাকা
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, বাংলার কোনও শিশু যেন অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, এই নতুন চিকিৎসা পরিষেবার জন্য রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

আরও পড়ুনঃ নিজের হাতে এনুমারেশন ফর্ম নিয়েছেন মমতা? জানুন আসল ঘটনা
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শুরু হয়েছিল ‘শিশুসাথী’ প্রকল্প। তখন থেকেই রাজ্যের হাজার হাজার শিশু এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নতুন ঘোষণায় সেই প্রকল্প আরও সম্প্রসারিত হয়ে পৌঁছে গেল দূরারোগ্য শিশুদের কাছে, যারা এতদিন টাকার অভাবে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছিল না।













