বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) করোনা সম্পর্কে এবার ব্যখা দিয়ে বলেন শহর কলকাতায় হু হু করে বাড়ছে করোনা। রবিবারের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। যা রাজ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু মহানগরের এমন অবস্থার কারণ কী? যথাযথ সতর্কতা মেনে চলা হচ্ছে না, নাকি চিকিৎসা হচ্ছে না?
কলকাতায় বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ নিয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বললেন, “কলকাতায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি দেখানো হচ্ছে। তার কারণ জেলার সব রোগী কলকাতায় ভরতি হয়। কলকাতার আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে সব জেলার বাসিন্দারা রয়েছেন।”
কলকাতায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি হওয়া নিয়ে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘কলকাতায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি দেখানো হচ্ছে। কলকাতার হাসপাতালগুলিতে জেলার রোগীরাও ভরতি হচ্ছেন। কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরুণ রেকর্ডটা কলকাতার বলে দেখানো হচ্ছে।’
এদিকে এদিন ফের একবার কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “দিল্লি রোজ মিথ্যে বলছে। রাজ্যকে দোষ দিচ্ছে। অসত্য তথ্য দিচ্ছে। একতরফা মিথ্যা বলছে।” পাঁচটি রাজ্য থেকে ট্রেন রাজ্য পাঠাতে নিষেধ করে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তবে সেই পাঁচটি রাজ্যের নাম তিনি উল্লেখ করেননি। করোনা সংক্রমণে লাগাম পড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, দূরপাল্লার ট্রেন কোভিড এলাকা থেকে চলা বন্ধ থাকুক। আর আন্তঃরাজ্য বিমান চলুক সপ্তাহে একদিন। তবে রাজ্যের মধ্যে বিমান চলাচলে আপত্তি নেই বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।
টেলি মেডিসিন প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বুধবার ডক্টরস ডে থেকেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বিনামূল্যে পড়ুয়া, সাফাইকর্মী, একশো দিনের কর্মীদের মাস্ক দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। এই জন্য প্রায় তিন কোটি মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।