বাংলাহান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই যেন একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন তিনি। লোকে ‘হাসবে’ জেনেও ফাঁস করলেন তাঁর জীবনের চরম গোপন কথা।
এদিন হোম ট্যুরিজমের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানানো হয় সে হোমস্টের দেড় লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্য ওয়েস্টার্ণ বাথরুমকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু ঘরের মধ্যে বাথরুম তৈরি করতে মোটেই রাজি নন আদিবাসীরা। সেই কারণেই হোমস্টে তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানের কথা বলতে গিয়ে আদিবাসীদের মাটির শৌচালয় তৈরির পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে জানালেন আমেরিকায় তাঁর বাথরুম বিভ্রাটের গল্প।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম ইউনাইটেড নেশনে গেলাম তখন ইউএন জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে গিয়েছিলাম। অটলজি আমাকে পাঠিয়েছিলেন। তো আমি আমেরিকায় একটি হোটেলে উঠেছি। সেখানে আলাদা ঘর। এদিকে বাথরুমে গিয়ে দেখি সেখানে কিছুই নেই। মগ, বালতি কিছুই নেই। সবই ওয়েস্টার্ন নিয়ম চলে। এদিকে আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। তারপর গেলাম হোটেলের রান্নাঘরে। কিন্তু, সেখানে কোনও মগ ছিল না। তাই সেখান থেকে একটা সসপ্যান নিয়ে আসি। সসপ্যান মানে ওই হাতল লাগানো ডেকচি। সেই ডেকচি দিয়েই স্নান করেছিলাম। আমার কাজটা তো হয়ে গেল। মগের বদলে ডেকচি দিয়ে স্নান। কী করব আমাদের অভ্যাস হচ্ছে বালতি, মগ কলের জল এই সব।’
এখানেই শেষ নয়, তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমি যদি বিদেশে গিয়ে নিজের নিয়মে স্নান করতে পারে তাহলে তোমরা তোমাদের দেশে কেন নিজের দেশের নিয়ম মানবে না? যারা পারবে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু, আদিবাসীদের একটা নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। ওদের সংস্কৃতিতে আমরা কখনও নাক গলাতে পারি না। তাদের নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে আনন্দে থাকতে দাও।’
একই সঙ্গে এদিন ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়েও গর্ব করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যেটা ভারতীয় সংস্কৃতি সেটাই থাকুব। বাথরুম, স্নানের ঘর এগুলো থাকবেই। আর যে সব পর্যটক আসবেন তাঁরা সেটাকে পছন্দ করবেন। যদি বিদেশ থেকে কেউ আসেন তাহলে তাঁর জন্য ইংরেজিতে লিখে দেওয়া হোক যে এটাই নিয়ম। তাহলে তাঁরা সেই নিয়ম মেনে চলবেন। আমাকে যে সব সময় বিদেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে তার কোও মানে নেই।’