বাংলাহান্ট ডেস্কঃ COVIED-19 এর জেরে সারা দুনিয়ার মানুষ ঘরবন্দি। কারন সরকার ঘোষিত লকডাউন (lockdown) চলছে। খুব দরকারি কারণ ছাড়া বাড়ি থেকে বেরেনো বারণ। “২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। নিজামুদ্দিনের জমায়েত ছিল ১৩ মার্চ। হজ হাউস থেকে কয়েকজন মানুষ নিজামুদ্দিন(Nizamuddin) ফেরত জামাত সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে? এ বিষয়ে মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমায় কোনও সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করবেন না। রোগ কোনও ধর্ম দেখে হয় না।” এই বলেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে উঠে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। কিন্তু বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই নিজামুদ্দিন ফেরতদের পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, “নিজামুদ্দিন ফেরত ১০৮ জন বিদেশিকে আমাদের এখানের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁরা কেউ মায়ানমার, কেউ ইন্দোনেশিয়া, কেউ বাংলাদেশের নাগরিক। সঙ্গে বাংলারও ৬৯ জনকেও রাখা হয়েছে। নিউটাউনের হজ হাউসে মোট ১৭৭ কোয়ারেন্টাইনে (quarantine) আছেন। আমাদের স্বাস্থ্য দফতর পুরোটা মনিটর করছে।”
নিজামুদ্দিন নিয়ে যখন দিন ১৫ আগে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছিলেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা তখন সে ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছিল ৭৩ জন নিজামুদ্দিনে গেছিলেন বাংলা থেকে। আলাপনবাবু টুইট করে বলেছিলেন, প্রত্যেককে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। যদিও তার দু’দিন পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন ৫৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া গেছে। আশা করব তাঁরা নিজেরাই পুলিশকে জানাবেন। যদিও হজ হাউসের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাংলার ৬৯ জনের মধ্যে তাঁরাও আছেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)।
ভারতে (india) সংক্রমণ ছড়াতে নিজামুদ্দিনের জমায়েতের ভূমিকা ঠিক কতটা তা নিয়ে একাধিক পরিসংখ্যান দিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দেশে সংক্রামিতদের ৩০ শতাংশের উৎস নিজামুদ্দিন। তারা আরও বলেছে, এখন ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ৪.১ দিনে। নিজামুদ্দিনের জমায়েত না হলে সেটা হত ৭.৪ দিনে। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক সময়ে দ্বিগুণ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিজামুদ্দিন নিয়ে কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলছেন। মনে রাখবেন মহামারী ধর্ম দেখে হয় না। বন্যা যখন হয় তখন হিন্দু-মুসলমান বিচার করে ঘরে জল ঢোকে না।”
নিজামুদ্দিনের জমায়েত নিয়ে ঘুরিয়ে কেন্দ্রের ঘাড়েই দোষ চাপান মমতা। তিনি বলেন, “মনে রাখবেন বিদেশমন্ত্রক আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আমাদের হাতে নেই। ওখানে অনুমতি দিয়েছিল বলেই জমায়েত হয়েছিল। কিন্তু আমরা যখন খবর পেয়েছি তার ছ’ঘণ্টার মধ্যে নিঃশব্দে কাজ সেরেছি।”