‘ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, ওনাকে ক্ষমা চাইতেই হবে’, চ্যারিটি ইস্যু নিয়ে সরব শুভেন্দু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee)- এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মিশনারিজ অফ চ্যারিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়ার গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী যে ট্যুইট করেছিলেন, সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে ক্ষমতা চাইতে বললেন শুভেন্দু অধিকারী।

জানা গিয়েছিল, গুজরাটের বডোদরা শহরে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখার সন্ন্যাসিনীরা, জোর করে বাইবেল পড়তে বাধ্য করতেন হিন্দু তরুণীদের। সেখানে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগেও আঘাত করা হচ্ছে। নিরামিষভোজী ওই তরুণীদের আমিষ খেতে বাধ্য করা থেকে শুরু করে খ্রিস্টান পরিবারে বিয়ে করতে বাধ্য করছেন তাঁরা। যদিও নিজেদের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংস্থা। যদিও কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সদর দফতর মাদার হাউজ এবিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

এই অভিযোগের পর শোনা গিয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমন খবর শোনার পর হইচই পড়ে গিয়েছিল সর্বত্র। শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। ট্যুইটে এই জন্য কেন্দ্রকে আক্রমণ করতেও বাদ দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটে লিখেছিলেন, ‘বড়দিনের উৎসবের মাঝেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার খবর শুনে আমি খুবই বিস্মিত। এরকম করলে ২২ হাজার রোগী এবং কর্মীরা খাবার এবং ওষুধ পাবেন না। আইন সবার উপরে থাকলেও, এভাবে মানবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়’।

কিন্তু পরবর্তীতে শোনা যায়, এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনও অ্যাকাউন্টই বন্ধ করা হয়নি- এমনটাই জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেইসঙ্গে মিশনারিজ অব চ্যারিটি জানায়, বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত অনুমোদনের পুনর্নবীকরণে কেন্দ্রের অনুমোদন না পাওয়ার জন্য, বিদেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চ্যারিটির পক্ষ থেকে।

এই ঘটনার পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘অনৈতিক মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের কারণে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ওনার উদ্দেশ্য সৎ ছিল না’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর