আমি একাই একশো, দিল্লি থেকে আমার সঙ্গে লড়তে আসছে হাজার নেতা: মমতা ব্যানার্জি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ  প্রথম দফার ভোট পর্ব মিটতেই সব দলই ঝাঁপিয়ে পড়েছে দ্বিতীয় দফার জন্য। এই দ্বিতীয় দফায়ই রয়েছে এবারের ভোটের অন্যতম হটস্পট নন্দীগ্রাম (Nandigram)। সেখানে এবারের প্রার্থী একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির প্রার্থী সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া ‘ভূমিপুত্র’ শুভেন্দু অধিকারী। আর তাই তো প্রথম ভোট মিটতেই নিজের কেন্দ্রে রওনা দিলেন মমতা। শোনা যাচ্ছে, ৩০ তারিখ সেখানে শুভেন্দুর হয়ে রোড শো করবেন বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহও। সবমিলিয়ে, ভোটের ফলাফলের পাশাপাশি নন্দীগ্রামে ভোট গ্রহণ পর্বও হয়ে উঠতে চলেছে আকর্ষণীয়।

এদিন নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে চণ্ডীপুরের (Chandipur) প্রার্থী অভিনেতা সোহমের (Soham) হয়ে জনসভা করেন মমতা। সেখানে একদিকে সোহমকে প্রার্থী কারণও যেমন বাতলে দিলেন, তিনি বলেন, সোহম ফিল্মস্টার বলে ওকে প্রার্থী করিনি, সোহম ভাল ছেলে, ৩৬৫ দিন দলের হয়ে কাজ করে, তাই ওকে জিততে দেখতে চায়। সর্বোপরি আমিই এই কেন্দ্রে প্রার্থী।

সোহম জিতলে আমি আবার সরকার গঠন করতে পারব। তেমনি বিজেপি (BJP) ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে একেরপর এক আক্রমণও শানিয়েছেন তিনি। এমনকি নাম না করে শুভেন্দু পরিবারকেও (Suvendu Adhikari) নিজভূমিতেই মীরজাফর বলে সম্মোধন করলেন তিনি। পাশাপাশি এবারের ভোটে নিজেকে একাই একশো বলে তুলে ধরলেন মমতা। তিনি বললেন তাই তো দিল্লি থেকে লড়তে আসছে হাজার নেতা।

West Bengal Election 2021: BJP Biggest Extortionist In The World: Mamata Banerjee At Election Rally

অন্যদিকে, এদিন দিল্লি থেকে প্রথম দফা  ভোটে (1st Phase West Bengal Assembly Poll) ৩০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি (BJP) ২৬ টি আসন পাবে বলে দাবি করেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই প্রসঙ্গে চণ্ডীপুরের জনসভা থেকে মমতা কটাক্ষ করে বললেন, ‘৩০ এ ২৬ কেন বলছে ? বলুন না ৩০ টাই পাবে। ৩০ এর মধ্যে ২৬ টা পাবে, আমি একটাও বলবো না, মানুষের উপর ছেড়ে দিয়েছি আমি। তবে তিনি বলেন বিজেপি রসগোল্লা খাবে, রস ছাড়া রসগোল্লা।

কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে এদিন মমতা (Mamata Banerjee) বললেন, ‘উত্তর প্রদেশ থেকে বন্দুকধারী গুন্ডা ঢুকিয়ে ভোট করাচ্ছে, ওদের কথায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমরা খাওয়া, থাকার খরচ জোগাচ্ছি, আর আমাদের ভোটারদেরই মারধর করছে।’ তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সন্মান করে বলছি, তোমরা আমাদের অতিথি। গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিতে বোলো না। যোগীজির মত ভোট এখানে হয়না। তোমরা নিজেদের কাজ করো। অন্যথায় আমায় মুভমেন্ট করতে হবে।”


সম্পর্কিত খবর