বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলবদলের হিড়িক উঠে গিয়েছিল। তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতৃত্বরা দলে দলে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপি শিবিরে। তাদের দেখাদেখি অনেক কর্মী সমর্থকরাও হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির পতাকা। ভাঙ্গনের খেলায় মেতে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি।
দলবদলের পর একাধিক সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে (mamata banerjee) নানারকম ভাবে আক্রমণাত্মক প্রশ্নবাণে বিদ্ধও করেছিলেন এই দলবদলুরা। তাদের হয়ে সভা সমাবেশ করতেও দেখা গিয়েছিল বিজেপির নানা শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বদের। কিন্তু ২ রা মে’র গণনার পর দেখা যায় বেশিরভাগ দলবদলুদেরই পছন্দ করেননি বাংলার মানুষ। পাল্টিবাজিদের উপর নয়, বাংলার মানুষ আস্থা রেখেছে ‘বাংলার মেয়ে’ মমতা ব্যানার্জির উপরই।
আগামী ৫ ই মে হ্যাট্রিক করে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে মুখ্যমন্ত্রীর আসন গ্রহণ করতে শপথ নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। তবে করোনা আবহে বড় করে বিজয় উৎসব এখন করা হচ্ছে না, সেটা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর ব্রিগেডে বড় সভা করা হবে। এই করোনা আবহে এমনকি সকল মন্ত্রীদের একসঙ্গে শপথ না নেওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে।
নতুন করে মন্ত্রীসভা গঠনের আগেই কালীঘাটের বাড়ি থেকে সাংবাদিক বৈঠকে ‘দলবদলু’দের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতা-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তাঁরা আসতে চাইলে আবারও ফিরে আসতেই পারেন’। অর্থাৎ দলবদলুদের আবারও তৃণমূলে ফিরতে কোন বাঁধা নেই, তাই স্পষ্ট করে দিলেন মমতা ব্যানার্জি।