“উন্নয়নের জীবন্ত কিংবদন্তি…”, নবদ্বীপে মমতাকে “প্রতিশ্রুতিশীল প্রধানমন্ত্রী” হিসেবে দাবি, শুরু রাজনৈতিক তরজা

Published on:

Published on:

Mamata Banerjee is claimed to be a

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করা এই রাজনৈতিক দলের হাত ধরেই রাজনীতির মঞ্চে উত্থান ঘটে মমতার। বহু ঘাত-প্রতিঘাত এবং লড়াইয়ের শেষে রাজ্যে বাম আমলেরও অবসান ঘটে তৃণমূলের মাধ্যমেই। যাঁর নেতৃত্বে ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবদ্বীপে মমতাকে (Mamata Banerjee) “প্রতিশ্রুতিশীল প্রধানমন্ত্রী” হিসেবে দাবি:

এদিকে, রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের পর স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হন মমতা (Mamata Banerjee)। ২০১১ সালের ২০ মে রাজ্যের অষ্টম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তারপর এখনও পর্যন্ত তৃতীয় মেয়াদে মমতা মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন রয়েছেন।

Mamata Banerjee is claimed to be a

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মুখ্যমন্ত্রীর পদে মমতার (Mamata Banerjee) কার্যকাল শুরু হওয়ার পর বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার তিনি যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অন্যতম দাবিদার এই প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব। এমনকি, শাসক দলের নেতৃত্বদের এহেন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক তরজাও চলেছে।

আরও পড়ুন: ২৬ কিমিরও বেশি মাইলেজ! সবাইকে টেক্কা দিল Maruti Suzuki-র এই সেভেন-সিটার! হু হু করে হচ্ছে বিক্রি

তবে এবার, মমতাকে (Mamata Banerjee) “প্রতিশ্রুতিশীল প্রধানমন্ত্রী” হিসেবে বিবেচিত করে একেবারে পৌরসভার ভেতরে ফ্লেক্স বসিয়ে ফেলেছেন নবদ্বীপ মিউনিসিপ্যালিটির পৌরপিতা বিমান কৃষ্ণ সাহা। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে মমতা ব্যানার্জির একটি ছবির নিচে তাঁকে উল্লেখ করে কিছু কথা লেখা রয়েছে।

আরও পড়ুন: মাত্র ২.৫ ঘণ্টায় যাওয়া যাবে ১,০০০ কিমি! জাপানের দ্রুততম বুলেট ট্রেন চলবে ভারতে, কবে শুরু পরিষেবা?

যেখানে বলা হয়েছে, “আপনি সুশাসন, মানবতার সঙ্গে সততা ও সর্বাত্মক উন্নয়নের জীবন্ত কিংবদন্তি এবং ভারতের প্রতিশ্রুতিশীল প্রধানমন্ত্রী।” আর এই লেখার নিচেই বিমান কৃষ্ণ সাহার নাম রয়েছে। অর্থাৎ, নবদ্বীপের পৌরপিতা মমতাকে (Mamata Banerjee) কার্যত প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দাবি করেছেন। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনাও। বিরোধীরা মনে করছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে নবদ্বীপের হয়ে টিকিট পেতেই হয়তো এই কাজ করেছেন বিমান কৃষ্ণ সাহা। আর এই কারণেই বিষয়টি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।