বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের খুনের বিচার চাইতে পথে নেমে আহত একাধিক মহিলা আন্দোলনকারী। কারও ফাটাল মাথা, কেউ মার খেয়ে রাজ্য পুলিশকে বলল ‘চটিচাটা’। নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে রণক্ষেত্র রাজপথ। আর জি কর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। আর সেই আন্দোলন ঘিরে রক্তাক্ত তিলোত্তমা।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা বাংলা। আজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। সেই প্রতিবাদ আন্দোলন ঘিরে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ। সাঁতরাগাছি, হাওড়ার ময়দান, হেস্টিংস, মহাত্মা গান্ধী রোড সহ একাধিক জায়গায় তুলকালাম।
নবান্ন অভিযান ভঙ্গ করতে দফায় দফায় লাঠিচার্জ থেকে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে একজোট হয়েছে সমস্ত আন্দোলনকারীরা। নবান্ন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে গিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবুও দমে যাননি বিক্ষোভকারীরা। সকলের একটাই দাবি, ‘জাস্টিস চাই, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুক।’
যেখানে রাজ্য আজ উত্তাল, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে কোথায় রয়েছেন সেই প্রশ্নও উঠছে মানুষের মনে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টার কিছু আগে নবান্নে ঢোকেন মমতা (Mamata Banerjee)। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র ডাকে নবান্ন অভিযানের আগেই নবান্নে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা আগেই এদিন নবান্নে পৌঁছন মমতা। কড়া নিরাপত্তার মাঝে নবান্নে ঢোকেন তিনি।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে ধৃতদের পাশে দাঁড়িয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! শুভেন্দুর এক ঘোষণায় তোলপাড় বাংলা
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এদিন মোট ৬ হাজার পুলিশকর্মী শহরের রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে। রাজপথে ২৬ জন ডেপুটি কমিশনার আধিকারিকও। পুলিশ আগেই জানিয়েছে যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে তা বেআইনি। কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়নি। পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে কোনও আবেদনও জানানো হয়নি।