বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বাড়ির ছেলের বিয়ে। আগামী ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কার্শিয়ংয়ের কন্যার সঙ্গে চারহাত এক হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের ছেলের। আসলে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক্তার পুত্র আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abesh Banerjee)। পারিবারিক সূত্রে খবর, নিজের সহপাঠী প্রেমিকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি। বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে বরকর্তা হচ্ছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মমতার পরিবারের ‘এলাহী’ এই বিয়ে নিয়ে চর্চা তো চলছিলই, তবে এবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ফেসবুক পোস্টের পর শুরু হল জোর বিতর্ক। কারণ কি?
এদিন নিজের ফেসবুক থেকে এক থালা ভাতের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট লেখেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, ‘আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে, নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে, যেখানে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সন্তানদের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।’
‘বিবাহের আনন্দনাড়ু কুটতে ও উলুধ্বনিতে পাহাড় মুখরিত করতে ইতিমধ্যেই পিসির পরিবার; জ্ঞাতি, আত্মীয় ও কুটুম্বদের বেশ কয়েকদিনের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে চা-বাগিচা এলাকার পাঁচতারা হোটেল। এছাড়াও অন্যান্য একটি প্রাঙ্গণ সুসজ্জিত হয়েছে। না, এতে বিশেষ দোষের কিছু নেই, মালকড়ি থাকলে বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিতে আপত্তি কোথায়! কিন্তু এর পরেই যে তাল কাটলো।’
আরও পড়ুন: পকেটে কি নিয়ে ঘুরতেন অনুব্রত? আদালতে বিরাট দাবি CBI-র! চমকে উঠলেন বিচারপতি
এরপরই শুভেন্দুর অভিযোগ, “সপ্তাহব্যাপী এই রাজ-অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর আজ থেকেই আগামী রবিবার অব্দি এই প্রতিটি অকুস্থলে কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশজন চিকিৎসককে, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত ও রাত থেকে সকাল দুই শিফটে ডিউটিতে মোতায়েন করেছে। আরো আঠাশত জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে হাসপাতালে দুই শিফটে মজুত বাহিনী হিসেবে রাখার হুকুমনামা লটকানো হয়েছে সরকারি দেওয়ালে।
কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘হুকুম তামিল করতে যাওয়া ‘রাজবৈদ্যদের’ নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম।’ এখানেই শেষ নয়। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, সেখানে ডিউটি স্বাস্থ্য কর্মীদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছে সেটাও নাকি নিম্নমানের।
শুভেন্দু লেখেন, ‘মধ্যাহ্নভোজনে যে ‘মিড-ডে মিল’ পরিবেশন করা হয়েছে তার ছবি দেখে আপনারাই বিবেচনা করুন যে এলাহী আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে’। এরই সাথে খাবারের একটি চিত্রও জুড়েছেন শুভেন্দু।