ভাতৃবধূকে প্রার্থী করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কার্তিক বন্দ্যোপধ্যায়ের স্ত্রী বললেন ‘আমি জানতামই না’

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবারই তৃণমূলের (tmc) পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে কলকাতা পুরভোট নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, টিকিট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) ভাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় (kajari banerjee)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সেভাবে ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ পরিবার থেকে আর কাউকে কোনদিন সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখা যায়নি। তবে স্বামী কার্তিকবাবুকে রাজনৈতিক ময়দানে কিঞ্চিত দেখা গেলেও, এবার স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সক্রিয় ভাবেই দেখা যেতে চলেছে।

এদিকে টিকিট পেয়ে হতবাক ভাইয়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘লিস্টে আমার নাম থাকার অর্থাৎ প্রার্থী হওয়ার ১০ মিনিট আগে পর্যন্ত এই বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। মিটিং শেষে দিদি ঘর থেকে বেরিয়েও আমাকে কিছুই জানান নি। অন্য একজন আমাকে জানালেন ওই লিস্টে আমার নাম রয়েছে’।

bbvb 2

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড অর্থাৎ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিট দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু ওই ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর ছিলেন রতন মালাকার। এবার তাঁকে সরিয়ে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়ার বিষয়ে দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই রতন মালাকারকে নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। দলের সংগঠন সম্পর্কে ধারণাও ছিল না তাঁর। সেই কারণে তাঁকে সরিয়ে সেই জায়গায় কাজরী বন্দ্যোরাধ্যায়কে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

‘দিদি’ দায়িত্ব দিতেই সেই দায়িত্ব মাথা পেতে নেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন প্রচার কাজ। কলকাতার ৭৩ ওয়ার্ডকে ‘মডেল ওয়ার্ড’ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নও দেখছেন তিনি। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সবসময়ই ভালো কাজ করারই পরামর্শ দেন দিদি। বলেন মডেল ওয়ার্ড তৈরি করার কথাও’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর