বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একেবারে অ্যাকশন মুডে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবারেই নবান্নের বৈঠক থেকে রাজ্যের মন্ত্রী আমলাদের একেবারে কড়া ডোজ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই কলকাতা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় চলছে ফুটপাত (Foothpath) সাফাইয়ের কাজ।
রাস্তার ধারে নির্মাণ ভাঙতে চলছে বুলডোজার। কিন্তু এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে মোটেই খুশি নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আবার নবান্নের বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সাতটি কর্পোরেশনের মেয়র, পৌরসভার চেয়ারম্যান, জেলাশাসক সহ পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে দলীয় নেতা কাউন্সিলরদের (Councillor) ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা। হকার এবং দখলদারি সংক্রান্ত বিষয়ের পর্যালোচনা সভা থেকে মমতা এদিন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন,’যে কাউন্সিলরদের এলাকায় বেআইনিভাবে জমি দখল করা হবে, তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। যে যত বড়ই নেতা হোক না কেন, কাউকে রেয়াত হবে না। যাঁরা ভালো কাজ করবেন, তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: DA আন্দোলনের মধ্যে বড় উপহার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, বেজায় খুশি সরকারি কর্মীরা
তারপরেই ধমকের সুরে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘প্রথমে বসাবেন, তারপর বুলডোজার দিয়ে তুলে দেবেন, সেটা হবে না। হকারদের থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ করুন। এরকমভাবে রাস্তা দখলের জন্য নেতা এবং পুলিশই দায়ি। হকারের থেকে টাকা নিচ্ছেন নেতা এবং পুলিশ অফিসাররা। আমি বলব যে লোভ সংবরণ করুন আপনারা। জীবনযাপন করার জন্য যতটুকু দরকার, সেটায় সন্তুষ্ট থাকুন।’
এছাড়া যারা রাস্তাঘাট অপরিষ্কার করে রাখেন তাদের-ও এক হাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আবর্জনা ফেলা যাবে না। এটা ক্রাইম। রাস্তায় আবর্জনা ফেললে জরিমানা করতে হবে। পুরো বিষয়টা কেন্দ্রীয়ভাবে করতে হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে টেন্ডার ডাকা হয়। টাকা খায়।’ নেতা এবং পুলিশদের টাকা দিয়ে বেআইনি পার্কিং জোন তৈরী নিয়েও এদিন মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সেইসাথে হকার জোনের পাশের বিল্ডিংয়ে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
এখানেই শেষ নয় তাছাড়া এদিন পুলিশ-নেতাদের কড়া বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ বলেছেন, ‘হকার উচ্ছেদ লক্ষ্য নয়। হকারির জায়গায় গোডাউন তৈরি করে ফেলছে। হকার ইউনিয়নগুলোর দেখা উচিত। এক একজন হকার চারটি করে ডালা বসাচ্ছে। পুলিশ, হকার নেতারা গরিব হকারদের কাছে থেকে চাঁদা তুলবেন না।’