১৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি রয়েছে, আদালত অনুমতি দিচ্ছে না! নিয়োগ মামলায় পাল্টা তোপ মমতার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ আসতেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর নাম দুর্নীতি মামলার সাথে যুক্ত হতেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারকে রীতিমতো বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। একে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না এবং সেই সঙ্গে পুরনো নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঘাসফুল শিবিরকে কার্যত কোণঠাসা করে দিচ্ছে বাম-বিজেপি দু’পক্ষই। এবার তাদের উদ্দেশ্যেই কড়া জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুধু তাই নয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার জন্য চাকরিপ্রার্থীদেরই পরোক্ষে দায়ী করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আসানসোলের কর্মিসভা থেকে শিক্ষক নিয়োগ ও রাজ্যের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, “আমি খোঁজ নিয়েছি, ১৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি রয়েছে আমার কাছে। কিন্তু আমি নিয়োগ করব কীভাবে? আদালত অনুমতি না দিলে নিয়োগ করা তো সম্ভব নয়।” এর পাশাপাশি সব ক্ষেত্রেই আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে চলার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। এরপরই বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের কর্মিসভা থেকে গেরুয়া শিবিরের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি একটা অপদার্থ দল।”

বিরোধীদের তুলোধোনা করার পাশাপাশি ত্রিপুরায় শিক্ষকদের চাকরি চলে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বিকাশবাবু একের পর এক মামলা করছেন। আদালত নিয়োগ বন্ধ করে দিচ্ছে। ওনার তো অর্থের কোনও অভাব নেই। কিন্তু সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে আপনাদের।”

mamata 32 1

এর পাশাপাশি টেট উত্তীর্ণ মামলাকারীদের উদ্দেশ্য তার মন্তব্য, “আপনারা মামলা তুলে নিন অথবা আপনাদের স্বপক্ষে রায় নিয়ে আসুন, আমি চাকরি দিতে প্রস্তুত।” অর্থাৎ, রাজ্য সরকার শিক্ষকদের চাকরি দিতে প্রস্তুত থাকলেও বিরোধীদের বারংবার বিরোধীতা ও একের পর এক আইনি জটের কারণেই যে নিয়োগ আটকে রয়েছে তার এককথায় স্পষ্ট করে দেন নেত্রী।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর