বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২১ এর মঞ্চ থেকে আগামী ৫ই অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যা নিয়ে শুরু হয় শোরগোল। হাইকোর্টে মামলা গেলে সেখানেও নিষেধাজ্ঞা। এরই মধ্যে এবার দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে বদলে গেল তৃণমূলের প্রস্তাবিত কর্মসূচি।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে গোটা রাজ্যে কর্মসূচি আগামী ৫ অগস্টের বদলে পালিত হবে ৬ তারিখে। রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই অবস্থান, বিক্ষোভ, কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। এই কর্মসূচী নিয়ে গতকালই বরানগরের বিধায়ক তথা শাসকদলের নেতা তাপস রায়ও সাফ জানান, “কারও অসুবিধা করা হবে না। তবে ব্লকে ব্লকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করা হবে।”
এদিন তারই সঙ্গে মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও জানিয়েছেন, ”আমরা রাজনৈতিক দল, আমাদের গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার আছে। আমরা তাই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বেলা ১২’টা থেকে বিকেল ৪’টে পর্যন্ত এই কর্মসূচি করব।”
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আগামী ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর ডাক দেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেছিলেন, আগামী ৫ই অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচী। বিজেপির ব্লক, বুথ, রাজ্যে সব নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। তবে শান্তিপূর্ণভাবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও হবে। বয়স্কদের রাস্তা ছেড়ে দেবেন। বিজেপি নেতারা বাড়িতে ঢুকবেও না বেরোবেও না। কোথাও কারও গায়ে হাত নয়। প্ররোচনায় পা নয়। ৩৪১ টা ব্লক। ১২৭টা মিউনিসিপালিটির ওয়ার্ড, টাউন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত গণঘেরাও কর্মসূচি চলবে।
যদিও পড়ে এই কর্মসূচীতে বদল আনেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ব্লকস্তরে নয়, বুথস্তরে হবে লড়াই। নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে ঘেরাও কর্মসূচী করা হবে। প্রতীকী কর্মসূচি গ্রহণ হবে। রাজ্যের শাসক দলের বক্তব্য ছিল, তাদের কর্মসূচির ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বাড়ি ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা নেই।
তৃণমূলের এই কর্মসূচীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচীর ওপর সাময়িক স্থগিতদেশ দেয় আদালত। শনিবার এই কর্মসূচী পালন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই এই কর্মসূচির দিন বদল।