বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সম্মেলন ছিল। সোমবার ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জেম স্যোশাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’-এর তরফে রাজ্যের সমস্ত ইমাম সংগঠনগুলির সমাবেশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই নিজের উৎকণ্ঠা, আক্ষেপের কথা তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে সর্বদাই সংখ্যালঘুদের তোষামদের অভিযোগ তোলে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের অনেকের মতে তিনি নাকি হিন্দু কম মুসলিম বেশি। আবার অনেকে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘খালা, ফুফু’ বলতেও দুবার ভাবেন না। ওদিকে মুসলিমদের যেকোনো অনুষ্ঠানে রমজান মাসে বা ইফতার পার্টিতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় হুহু করে ভাইরাল হয়ে যায়। বহুদিন এসব নিয়ে চুপ থাকার পর সোমবার ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সম্মেলন থেকে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? এদিন প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘আমি যখন রমজান মাসে, যখন রোজা ভাঙতে যাই, তখন আমার ছবি নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ করেছে। বিজেপির লোকেরা তো আমার নামটাই পালটে দিয়েছিলেন। আমার তার জন্য কিছু যায় আসে না।’
আরও পড়ুন: লাগামছাড়া বৃষ্টি! এবার ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে এই ৬ জেলায়, জারি অ্যালার্ট: আবহাওয়ার খবর
তার কথায়,’ আমি কী করব, সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার। আমি দেখব, কোনও ধর্মের সঙ্গে কোনও ধর্ম লড়াই করবে না। মানুষ এক। মানবিকতা এক।’ মমতা বলেন, ‘আমি হিন্দু ঘরে জন্মেছি বলে আমার তিনটি চোখ নেই। আপনি মুসলিম ঘরে জন্মেছেন বলে চারটি চোখ নেই। আমারও দুটো চোখ, আপনারও দুটো চোখ। আমারও দুটো হাত, আপনারও দুটো হাত। যেমন আমার দুটো পা, আপনারও দুটো পা।’
আরও পড়ুন: চরম গাফিলতি! এবার কলকাতা হাইকোর্টের রোষের মুখে দুই বিচারক, শোরগোল তুঙ্গে
এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, ‘কই আমি যখন আদিবাসীদের সঙ্গে ডান্স করি, আদিবাসী নৃত্য করি, তখন তো কেউ এই কথাগুলো বলে না। আমি যখন মতুয়া ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে ছুটি দিই, তখন তো কেউ এই কথাগুলো বলেন না। আমি রাজবংশী নেতা পঞ্চানন বর্মার নেতার মূর্তিতে মাল্যদান করি, তখন তো কেউ এই কথাগুলো বলেন না।’
বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে বলে অভিযোগ মমতার। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। যত রাগ আপনাদের সংখ্যালঘুদের উপর। সংখ্যালঘু দেখলেই ওদের পিঁপড়ে কামড়ায়। এমনি পিঁপড়ে নয়। এটা হচ্ছে ডোরা পিঁপড়ে। কামড়ালেই লাগে।’