বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই মেঘালয়ে (Meghalaya) বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election )। দিন কয়েকের অপেক্ষা মাত্র। তার আগেই নিজেদের জমি শক্ত করতে সোমবার পাহাড়ের রাজ্যে উড়ান দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee), সঙ্গে দোসর হয়েছে অভিষেক ব্যানার্জী (Abhishek Banerjee)। সেখানে রয়েছে দিন পাঁচেক এর ঠাসা কর্মসূচী।
উত্তর পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাজ্যে পা রেখেই তাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি অনেকটাই আশাবাদী। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের এক ডজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করায় সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বর্তমানে ঘাসফুল শিবির। এরই মাঝে নিজেদের শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে মরিয়া তৃণমূল। এদিন মেঘালয় থেকে কৌশলী কায়দায় তিনি বলেন, ভোটে জিতলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ঠিক এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই মেঘালয়ে প্রচার অভিযান শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মেঘালয়ে নিজের ৫ দিন কর্মসূচীর যাত্রা শুরু করে তিনি বলেন ‘‘আমাদের যাত্রা শুরু হল। এই রাজ্য আগামী দিনে এক গৌরবোজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।’’ অন্যদিকে, মেঘালয়বাসীর বিশ্বাস জিততে অভিষেক জানিয়েছিলেন, “মেঘালয়, দিল্লি বা গুয়াহাটির সামনে মাথা নীচু করবে না। উত্তর-পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির। বিজেপির একাধিক বড় বড় নেতা এসেছিলেন বাংলায়। আমরা তাঁদের জায়গা কোথায় তা দেখিয়ে দিয়েছি।” মেঘালয়ে তৃণমূল ‘বহিরাগত’ নয় সে কথা বলেও অভিষেক জানিয়েছেন, “তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই থাকবেন কারণ মুকুল সাংমা-সহ বিধায়করা এখানেরই স্থানীয় বাসিন্দা।”
প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার তৃণমূলে যোগদানের পর খাসি জয়ন্তী গারো পাহাড়ে তৃণমূল যে পরিমান শক্তি বৃদ্ধি করতে চলছে তাতে শাসকদল কংগ্রেসে আরও ভাঙন ধরতে পারে বলেও আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের। আগামী ২১ জানুয়ারি ৫০ বছর বয়স হবে উত্তরপূর্ব ভারতের এই পাহাড়ি রাজ্যের। রাজ্য গঠনের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষকে সামনে রেখে মঙ্গলবার থেকে কার্যত শুরু হয়ে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলের পরিবর্তনের প্রচার। যার সূচনা করবেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন।
উল্লেখ্য, প্রথমবার শিলং এর মাটিতে পৌঁছে সে রাজ্যের উষ্ণ আহ্বানে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরে খাসি বাদ্য, বাঁশি বাজিয়ে ফুল দিয়ে তাকে বরণ করলেন স্থানীয় মহিলারা। সাথেই পতাকা হাতে প্রচুর তৃণমূল সমর্থকও তাদের নেত্রীকে স্বাগত জানালেন।