‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে গেলে আপনাদের সম্পত্তির কী হবে?’ CAA নিয়ে সতর্ক করলেন মমতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আবহে সোমবার দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) লাগু করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকে খুশির হাওয়া বইছে ঠাকুরনগরে। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে, খুশির জোয়ারে ভাসছে মতুয়া সমাজ। তবে মঙ্গলবার মতুয়া-গড় হাবড়ায় দাঁড়িয়ে সিএএ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

সিএএ-কে ‘বিজেপির (BJP) লুডো খেলার ছক্কা’ তকমা দিয়ে মমতা বলেন, ‘আপনারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন। আপনাদের সম্পত্তির তাহলে কী হবে? চাকরির কী হবে? সন্তানদের পড়াশোনা কী হবে? সবকিছুই বেআইনি ডিক্লেয়ার হয়ে যাবে। আপনাদের কোনও অধিকার থাকবে না। এটা অধিকার কাড়ার খেলা। আমরা যখন লুড়ো খেলি তখন দেখেন তো ছক্কা মারলে ঘুঁটি খোলে। এটা হচ্ছে বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা’।

এখানেই না থেমে এরপর এনআরসির (NRC) সঙ্গে সিএএ-কে জুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। হাবড়ার সভা থেকে মমতা বলেন, ‘এনআরসির সঙ্গে এটা কানেকটেড মনে রাখবেন। ডিটেনশন ক্যাম্পে আপনাদের নিয়ে চলে যাওয়া হবে’। দরখাস্ত করার আগে একবার-দু’বার নয়, হাজার বার ভাবার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ যদি অধিকার পায় আমি খুশি হব। তবে যদি একটা মানুষ বঞ্চিত হয়, তাহলে তার সামনে দাঁড়িয়ে আমি শেল্টার দেব। বাংলা থেকে আমি কাউকে বিতাড়িত করতে দেব না’।

আরও পড়ুনঃ গুজরাতি ইউসুফকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ! ‘বিরুদ্ধে ভোট করাব’, চরম হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

এই আইনে দরখাস্ত করলে অবৈধ নাগরিক হয়ে যাবেন, এই কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। মমতা বলেন, ‘বলুন এতদিন ভোট দিয়েছেন নাকি দেননি? বুক বাজিয়ে সত্যি কথা বলুন। আধার কার্ড ছিল নাকি ছিল না। জমি আছে নাকি নেই, দোকান আছে নাকি নেই? তাহলে বুঝুন আপনি যেই এই আইনে দরখাস্ত করবেন, অবৈধ নাগরিক হয়ে গেলেন। তার মানে আপনার আর কোনও অধিকার থাকবে না। আপনার ফরেনার হয়ে গেলেন’।

mamata banerjee on caa

আজ হাবড়ার সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ সবাই মিলেমিশে থাকে। এখানে ঘৃণার রাজনীতি চলবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হতে দেওয়ার বার্তাও দেন। এর জন্য সকলকে একজোট হওয়ার ডাকও দেন মমতা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর