বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোট প্রচারে বেরিয়ে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (mamata banerjee)। প্রকাশ্য সভা থেকেই সংখ্যালঘু ভোট ভাগ না করার আর্জি জানিয়েছেন। ধর্মের ভিত্তিতে ভোট প্রচার করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায় তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়ে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো নোটিশকেও কুছ পরোয়া নেই তৃণমূল সুপ্রিমোর। এখনও জোর গলায় বলে চলেছেন, ‘এরকম ১০ টা শোকজেও আমার কিছু আসে যায় না। আমার উত্তর যা ছিল, তাই থাকবে। রোজ রোজ হিন্দু-মুসলমান করতে থাকা মোদীর বিরুদ্ধে কটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে?’
হাওড়ার ডোমজুড়ের জনসভা থেকে দৃপ্ত কণ্ঠে হুঙ্কার দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোন সুবিধা হবে না। আমি হিন্দু-মুসলমান সবার সঙ্গে আছি। এরকম ১০ টা শোকজেও আমার কিছু আসে যায় না। আমার উত্তর যা ছিল, তাই থাকবে। রোজ রোজ হিন্দু-মুসলমান করতে থাকা মোদীর বিরুদ্ধে কটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে?’
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্যের পাল্টা দিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। কটাক্ষ করে বললেন, ‘অন্য কাউকে শোকজ না করা হলে, ওনাকেও করা যাবে না! একেমন যুক্তি দেখালেন মাননীয়া? ওনার কমপ্লেনে যদি বিষয়বস্তু ঠিক না থাকে, তাহলে দায় কার!’
প্রসঙ্গত, গত ৩ রা এপ্রিল তারকেশ্বর জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, ‘ওই শয়তান ছেলেটা বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করতে চাইছে, সাম্প্রদায়িক কথা বলছে। তাই আপনাদের কাছে হাত জোড় করছি, সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না। মাথায় রাখবেন- বিজেপি এলে কিন্তু দুর্ভোগ আপনাদেরই হবে’।
এই ঘটনায় মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। তারপর জনপ্রতিনিধি আইনের ১২৩ (৩), ৩ (এ) ও (৪) ধারা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙ্গার অপরাধে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।