বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় চিকিৎসা বিমার ব্যবস্থা আগেই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে চিকিৎসার সুবিধা মিলবে এই কার্ডের মাধ্যমে। কিন্তু অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেসরকারি হাসপাতাল গুলি সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এই কার্ডের আওতায় পরিষেবা দিতে চায় না। এমনকি অগ্রীম টাকা চাওয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
এবার এই ইস্যুতে কড়া হতে চলেছে নবান্ন। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা কোনও বেসরকারি হাসপাতাল দিতে না চাইলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ‘ যারা স্বাস্থ্যসাথী নেবে না, তাদেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।’
এই কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের বাইরেও চিকিৎসা পরিষেবা মেলার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেখানেও সঠিক পরিষেবা না মেলার অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তাই এবার বদলানো হতে পারে এই কার্ডের বেশ কিছু নিয়মও। বাংলার বাইরে এই কার্ড ব্যবহার করতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি ক্রমেই তা করতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছে নবান্ন। অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বাইরে মিলবে না এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা।
এছাড়াও রোগী রেফার করার ক্ষেত্রেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে জেলা ও মহকুমা হাসপাতালগুলিকে। মমতার কথায়, আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে হাসপাতাল গুলির পরিকাঠামো। জেলায় জেলায় তৈরি করা হয়েছে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেই কারণেই জেলা থেকে রোগী কলকাতায় রেফার কররা বদলে পরিষেবা দিতে হবে এই হাসপাতাল গুলিতেই। এখানেই শেষ নয়, জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং বিডিওদের হাসপাতাল গুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বেসরকারি হাসপাতাল গুলির প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল যে রাজ্যের বেঁধে দেওয়া নূন্যতম খরচে অনেক রোগেরই চিকিৎসা সম্ভব নয়৷ কিন্তু যতই সমস্যা থাকুক না কেন, সরকারি নিয়ম মেনে চলতেই বাধ্য তারা। কিন্তু এই নিয়ম ভিন রাজ্যের হাসপাতালে প্রযোজ্য নয়। তাই সবদিক সামাল দিতেই এবার এহেন কড়া পদক্ষেপের পথেই হাঁটল নবান্ন।