আপাতত ‘আবাস যোজনা”য় নতুন করে নাম নেওয়া হবে না! কেন্দ্রকে বিঁধে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আসা একাধিক প্রকল্পের অর্থসাহায্য কে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের নামে চালাচ্ছেন, এই অভিযোগ বহুদিন থেকে বারবার তুলেছে গেরুয়া শিবির। এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নাম করে রাজ্যে কেন বাংলার বাড়ি প্রকল্প শুরু হল সেই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তহবিল থেকে অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলত, বিপাকে পড়েছে রাজ্যসরকার। যদিও বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তবে এবার নিজেই জানালেন আপাতত আবাস যোজনায় নতুন তালিকা তৈরি করা বন্ধ রাখতে হবে।

সম্প্রতি দুই বর্ধমানের প্রশাসনিক সভায় হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বাড়ির জন্য নতুন নাম নিতে নিষেধ করার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “আমি আগে গিয়ে একটু কথা বলে দেখি! আমরা কী অপরাধে অপরাধী সেটা একটু জানি।” শুধু তাই নয়, তৃণমূল সুপ্রিমো চাঁচাছোলা ভাষায় উল্লেখ করেন, “গুজরাত যদি নিজেদের নামে এই প্রকল্প চালাতে পারে, উত্তরপ্রদেশ যদি পারে, তাহলে বাংলা করলে দোষ কোথায়?” যদিও, মোদী সরকারকে একহাত নিলেও স্পষ্ট ভাবেন জানান, বর্তমানে বাড়ি তৈরীর যে কাজগুলি চলছে তা সম্পন্ন করা হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধের মাঝখানে পড়ে বাড়ি কী ভাবে তৈরী হবে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। তাছাড়াও, আবাস যোজনায় যে বাড়ি গুলির দ্বিতীয় বা তৃতীয় কিস্তির টাকা বাকি রয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রেই বা কী বন্দোবস্ত করা হবে তার নিয়েও বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, “একটা দরজা বন্ধ হলে, আরেকটা দরজা খুলবে।”

তবে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে কেন্দ্র করে যখন দু’পক্ষের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে, তখন কেন্দ্র আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষের জন্য বাড়ি তৈরীটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি সময়ের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নামটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সেই বিষয়েই ভাবিত ওয়াকিবহাল মহল।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর