ভোটের আগে ময়দানে মন্ত্রীরা, ‘পাড়া সমাধান’ প্রকল্পের নিয়মে বড় বদল আনলেন মুখ্যমন্ত্রী

Published on:

Published on:

Mamata Banerjee sends ministers to monitor Para Samadhan camps

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে জনসংযোগ আরও মজবুত করতে নতুন কৌশল নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি আরও সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে এবার নতুন উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রীতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন এবার থেকে প্রতিটি জেলায় একজন করে মন্ত্রী সরাসরি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে গিয়ে মানুষের অভিযোগ শুনবেন এবং সমাধানের তদারকি করবেন।

মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিশেষ নির্দেশ : নিরপেক্ষতার জন্য মন্ত্রীর এলাকা বদল

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি জেলায় একজন করে মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার তাঁকে ওই এলাকার শিবিরে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বিশেষ নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনও মন্ত্রীকে তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের শিবিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি, যাতে পর্যবেক্ষণ নিরপেক্ষ থাকে। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম হুগলির শ্রীরামপুরের দায়িত্বে, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস হাওড়া সদরের দায়িত্বে, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া দক্ষিণ কলকাতার ও পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় তদারকির জন্য যাবেন যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবারে।

মন্ত্রীদের মূল দায়িত্ব হবে শিবিরে জমা পড়া অভিযোগ, আবেদন ও পরামর্শ দ্রুত কার্যকর করার জন্য তদারকি করা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, প্রতিটি শিবির পরিদর্শনের পর একটি বিস্তারিত রিপোর্ট নবান্নে জমা দিতে হবে। রিপোর্টে থাকতে হবে সমাধান হওয়া সমস্যা, বাকি থাকা অভিযোগ, ও ভবিষ্যৎ করণীয় পরিকল্পনা।

প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মন্ত্রীদের সরাসরি মাঠপর্যায়ে অংশগ্রহণে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। এতে ভোটের আগে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়তে পারে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হতে পারে।

Mamata Banerjee sends ministers to monitor Para Samadhan camps

আরও পড়ুনঃ ইংরেজবাজার থেকে কোচবিহার, ৩৭ দিনে খুন ১০ তৃণমূল কর্মী, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই উদ্যোগ সরকারের জনসংযোগ বাড়াতে সহায়ক হবে এবং প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে। তবে বাস্তবে এই কর্মসূচি কতটা কার্যকর প্রমাণিত হবে, তা নির্ভর করছে মন্ত্রীদের সক্রিয় ভূমিকা এবং মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়নের উপর। ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই নতুন পদক্ষেপ কতটা ফলদায়ক হয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।