যত আবোল তাবোল, লন্ড ভন্ড, অন্ড গন্ড! দেখুন কি বললেন মমতা ব্যানার্জী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনেই বিধানসভার নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে মতুয়া ভোট টানতে আজ মতুয়া বহুল হবিবপুরে জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি নানা ইস্যুতে বিজেপি এবং কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি নদিয়া জেলায় কি কি কাজ করেছেন সেটার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ইসকন মন্দিরকে ৭০০ একর জমি দিয়েছি। আমরা কল্যাণীতে AIIMS তৈরি করার জন্য বিনামূল্যে জমি দিয়েছি।” তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে নদিয়া জেলা বড়সড় তীর্থক্ষেত্র গড়ে উঠবে। নদিয়ার এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে উন্নয়ন পৌঁছায় নি।”

তিনি রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সিপিএমের আমলে লোডশেডিংয়ের বিশাল সমস্যা ছিল। আমরা বলতাম সিপিএম-এর কোলে লোডশেডিং দোলে। এখন লোডশেডিং হয়ই না। আগামী প্রজন্মের ছেলেপেলে জানবেই না লোডশেডিং কি জিনিশ।”

তিনি বলেন, যেই বাংলায় নেতাজি জন্মায়। যদিও পরে তিনি সংশোধন করে বলেন, নেতাজি জন্মেছিলেন কটকে কিন্তু কাজ করেছেন এখানে। তিনি বাংলার সমস্ত মহাপুরুষ, সমস্ত ধর্মের নাম উল্লেখ করে বলেন সেই বাংলায় কতকিছু দেবেন বলেছিলেন ভাই, সেখানে একটা নকুল দানাও কিনে দেয়নি ওঁরা। বিনা পয়সায় খাবার চাইলে, স্বাস্থ্যসাথী চাইলে তৃণমূলকে ভোট দিন।” তিনি বলেন, ‘ওঁরা আমাকে একটু একটু ভয় পায়। কারণ ওঁরা জানে আমি মাথা নোয়াই না।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, যত আবোল তাবোল, উল্টো পাল্টা, লন্ড ভন্ড, অন্ড গন্ড, অকথ্য কুকথ্য, অকল্পনিয় কুকল্পনিয় লোকদের নিয়ে সকাল সকাল মাথায় তিলক কেটে বেরিয়ে পড়ে বলছে বাংলা দখল করব।

https://www.facebook.com/watch/?v=1240127376382422

তিনি দলবদলের রাজনীতি নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিজেপি হল ওয়াশিং ম্যাশিন। তৃণমূলে কেউ যোগ দিলে সে কালো। আর বিজেপিতে যোগ দিলে সে ভালো।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলে থাকলে ঘষটা সাবান আর বিজেপিতে গেলেই সানলাইট।

শুধু দলবদলই নয়, লাঞ্চ পলিটিক্স নিয়েও বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমিও মানুষের বাড়িতে যাই, খাই। আমি যেমন অবস্থায় থাকি, তেমন অবস্থাতেই যাই। আর বিজেপির নেতারা সেজেগুজে ফাইভস্টার হোটেল থেকে খাবার নিয়ে মানুষের বাড়িতে যান।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপির নেতারা যার বাড়িতে খেতে যান তাঁর বাড়িতে হিমালয়ান জলের বোতল নিয়ে যান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা হিমালয়ান বোতলের দাম কত? এরা খেতে বসে এদের পাশে হিমালয়ান জলের বোতল দেখা যায়। জীবন এত সহজ নয়।” তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধুলোতে নামতে হয়, কিন্তু এরা আবার ধুলো গায়ে লাগান না। এরা মিথ্যে কথার অমাবস্যা। এদের মতো মিথ্যে বলতে কেউ পারে না। ভোটের আগে বলে, চাকরি দেব, নাগরিকত্ব দেব। ভোট চলে গেলেই ডুগডুগি বাজায়।”

নির্বাচনের আগে সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী আর দুয়ারে সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুরুপের তাস। আর এই দুটো প্রকল্প এবং কিছু বড়বড় ঘোষণা করে এবারের বৈতরণী পার করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সুবাদে বিজেপি সমেত সমস্ত বিরোধী দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কোনও সরকার এত কাজ করেছে দেখাতে পারলে নাকখত দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর