বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এই বিল ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে ফেলার এক ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ।
১৩০ তম সংশোধনী বিল পেশ করার প্রস্তাব করায় নিন্দা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)
এদিন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লিখেছেন, “ভারত সরকার আজ ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার প্রস্তাব করেছে, তার নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এটিকে অতি জরুরি অবস্থার চেয়েও বেশি কিছুর দিকে পদক্ষেপ হিসেবে নিন্দা জানাচ্ছি, ভারতের গণতান্ত্রিক যুগকে চিরতরে শেষ করার পদক্ষেপ হিসেবে। এই কঠোর পদক্ষেপ ভারতে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয়তার জন্য মৃত্যুসংবাদ।”
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অভিযোগ, “বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) এর নামে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার দমন করার জন্য, এটি এখন কেন্দ্রের আরেকটি অতি কঠোর পদক্ষেপ। এই বিলটি এখন আমাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শেষ করতে চায়। আমরা যা দেখছি তা নজিরবিহীন! বিলটি ভারতীয় গণতন্ত্রের আত্মার উপর হিটলারের আক্রমণের চেয়ে কম কিছু নয়।” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বিলটি আদালতের সাংবিধানিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সেটিকে শাসক দলের হাতে ন্যস্ত করতে চাইছে, যা গণতন্ত্রকে বিকৃত করে দেবে।
মমতা (Mamata Banerjee) আরও লিখেছেন যে, “আদালতগুলিকে দুর্বল করা মানে জনগণকে দুর্বল করা। তাদের ন্যায়বিচার চাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা মানে গণতন্ত্রকে অস্বীকার করা। বিলটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর উপর আঘাত করে, অর্থাৎ ফেডারেলিজম, ক্ষমতা পৃথকীকরণ এবং বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা নীতিগুলি, যেগুলি সংসদও অগ্রাহ্য করতে পারে না।”
তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, “যেকোনো মূল্যে বিলটি প্রতিহত করতে হবে! এই মুহূর্তে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে! জনগণ তাদের আদালত, তাদের অধিকার এবং তাদের গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টাকে ক্ষমা করবে না। জয় হিন্দ!”
আরও পড়ুনঃ গেমিং জগতে মোদী সরকারের ‘গেম চেঞ্জার’ আইন, নিষিদ্ধ হবে এই জনপ্রিয় গেমগুলি
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) দাবি অনুযায়ী এই সংশোধনী বিল ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ফেডারেল নীতির উপর সরাসরি আঘাত হানবে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর এই তীব্র আক্রমণ কার্যত বিরোধী শিবিরকে নতুন অস্ত্র দেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।